স্বপ্নাদেশ পেয়েই ইমরানকে বিয়ে বুশরার! জানুন রোমহর্ষক নেপথ্য কাহিনি
ইমরান খানের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সরগরম দুই দেশের সংবাদমাধ্যম। সাধারণ মানুষের মধ্যেও চর্চা কম নেই। বৃদ্ধ বয়সে এসে কেন হঠাৎ করে ব্যস্ত রাজনৈতিক কেরিয়ারের মধ্যে তৃতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ইমরান খান?
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া পাকিস্তানের সুপারস্টার ইমরান খানের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সরগরম দুই দেশের সংবাদমাধ্যম। সাধারণ মানুষের মধ্যেও চর্চা কম নেই। বৃদ্ধ বয়সে এসে কেন হঠাৎ করে ব্যস্ত রাজনৈতিক কেরিয়ারের মধ্যে তৃতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ইমরান খান? এই প্রশ্ন অনেকেরই। [কে এই বুশরা মানেকা, যাঁর প্রেমে ৬৫ বছরের ইমরান 'কট অ্যান্ড বোল্ড']
এখানেও কিন্তু জড়িয়ে রয়েছে রাজনীতির প্যাঁচপয়জারই। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান এই মুহূর্তে পাকস্তানি রাজনীতিতে বড় নাম। বিরোধী রাজনীতিকদের মধ্যে তিনি, ইমরান খানই সবচেয়ে এগিয়ে।
এহেন পিটিআই ভোটে ভালো ছাপ ফেললেও এখনও সরকার দখল করতে পারেনি। আগের ভোটেও ইমরানকে নিয়ে আশা করা হয়েছিল। তবে নওয়াজ শরিফের দল ভোট জিতে ক্ষমতা দখল করে। এই অবস্থায় ইমরানের নিকাহ-র পিছনে রয়েছে অন্য রহস্য।
যাঁকে বিয়ে করেছেন ইমরান সেই বুশরা মানেকার আগের স্বামী ছিলেন খওহর মানেকা। তাঁর সঙ্গে বুশরার কোনওরকম অশান্তির কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। মানেকাও বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কোনও গোলমালের কথা জানাননি।
তাহলে কেন বিচ্ছেদ হল বুশরা ও খওহরের? খওহরের দাবি, একদিন বুশরা এসে তাঁকে জানান, তিনি হজরত মহম্মদের কাছ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন। সেখানে হজরত নিজে এসে বুশরাকে বলেছেন ইমরানকে বিয়ে করার জন্য। তাহলেই নাকি ইমরান সমস্ত বাধা পেরিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। এবং সেটা হলে পাকিস্তান এই জর্জরিত অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে ও অসাধারণ দেশে উন্নীত হবে।
এটাও শোনা গিয়েছিল যে বুশরা মানেকার সঙ্গে ইমরানের গত ১ জানুয়ারিই নিকাহ হয়ে গিয়েছিল। উপযুক্ত আধ্যাত্মিক সময় বিচার করে রবিবার তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে।