হাসিনা সরকারের সমালোচনায় বিশিষ্টজনেরা
দেশের মানুষকে ছাগল ভাববেন না। এটা বোকাদের দেশ নয়। এমনটাই বললেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
দেশের মানুষকে ছাগল ভাববেন না। এটা বোকাদের দেশ নয়। এমনটাই বললেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, সরকার নিজেদের কায়দামতো তথাকথিত সংসদ, তথাকথিত নির্বাচন, তথাকথিত গণতন্ত্র বানিয়েছে। সরকার সরাসরি মিথ্যাচার করে বলছে, এগুলো গিলে নিন।
ঢাকার গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে 'বাংলাদেশের সংবিধানে বিধৃত আকাঙ্ক্ষা, বিদ্যমান পরিস্থিত ও করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কামাল হোসেনের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ।
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের অভিযোগ, একের পর এক ব্যাঙ্ক লুট হচ্ছে। জনগণের কষ্টের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সরকার এসব টাকা ফিরিয়ে আনতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। গুম, হত্যার ভয়ে দেশের জনগণ কথা বলতে ভীত। গুম, হত্যার ভয়ে ভীত থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় নাগরিকদের ঐক্য, বলেছেন কামাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর অভিযোগ, সরকার সত্যি শুনতে ভয় পায়। তাই বিরোধী কোনও দলকে সভা, সমাবেশের অনুমতি দিতে চায় না। দুর্নীতি দেশকে গ্রাস করেছে। সরকারি কোনও দপ্তরে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না। অথচ মন্ত্রীরা বলেন, এটি নাকি 'স্পিড মানি'।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে চোখ বেঁধে তুলে নেওয়ার সমালোচনা করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, দেশবিরোধী কোনও আন্দোলন ছিল না। তাহলে চোখে বেঁধে তুলে নিয়ে যেতে হবে কেন? এই চোখ বাঁধার সংস্কৃতি ছিল পাকিস্তানের। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা এভাবে চোখ বেঁধে তুলে নিত। বলেছেন তিনি।
আলোচনা সভায় বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লিগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ছাড়াও আরও অনেকে।