'সীমান্ত সংঘাত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারত কথা বলতে পারলে, নেপালের সঙ্গে কেন নয়', ফুঁসছে কাঠমান্ডু
লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি এই তিল এলাকা নিয়ে ভারত নেপাল সংঘাত রয়েছে। এই ভারতীয় এলাকাগুলিকে নেপাল নিজের বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে, ভারত এই এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নেপাল ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আহ্বান জানায়। যাতে সায় দেয়নি ভারত। এরপরই ফুঁসতে শুরু করেছে কাঠমাণ্ডু।
অবস্থানে অনড় নেপাল
এদিকে, নিজের অবস্থান থেকে একচুল সরছে না নেপাল। যেভাবে নতুন মানচিত্রে নিজের ৩ টি এলাকাকে নেপাল ঢুকিয়ে দিয়েছে, সেভাবেই ওই মানচিত্রই ধরে রাখতে চাইছে সেদেশে। নেপালের বিদেশ মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন ভারতের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও মতেই তাঁরা মানচিত্রে বদল আনবে না।
কবে থেকে নেপালের মানচিত্র পরিবর্তনের ভাবনা?
নেপাল জানিয়েছে, যবে থেকে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক বদল করতে শুরু করেছে, তবে থেকেই নেপালও নিজের মানচিত্রে বদল করতে শুরু করে দিয়েছে। একথা জানান নেপালের বিদেশমমন্ত্রী।
চিনের সঙ্গে কথা বলতে পারলে..
নেপালের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত এখনও পর্যন্ত তাঁদের তরফে দেওয়া সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এপ্রসঙ্গে তাঁর ক্ষোভ, যদি লাদাখ সীমান্তে চিন ভারত সংঘাত নিয়ে বেজিং এর সঙ্গে দিল্লি কথা বলতে পারে, তাহলে কাঠমান্ডু দিল্লি আলোচনা হবে না কেন?
চিনের টাকা ও নেপাল
নেপালে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে চিন। আর এই আর্থিক সহায়তা চিন থেকে আসায় , নেপাল চিনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। নেপালের মতো আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশকে কার্যত চিন ২০০৮ থেকে সাহায্য করছে টাকা দিয়ে। যার বিনিময় হিসাবে নেপাল ভারতের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
কালাপানি বিতর্ক
নেপালের সংসদে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে, ওলি বলেন , ভারত ভুয়ো তথ্য দেখিয়ে মানচিত্রে নেপালের অংশকে নিজের বলে দাবি করছে। এক্ষেত্রে কালি নদী ঘিরে ভুয়ো তথ্য় দেখাতে শুরু করেছে দিল্লি, বলে দাবি নেপালের। নেপালের দাবি, এই কালি নদী তাদের অংশ, যেখানে ভারত নিজের সেনা বসিয়ে রেখেছে। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়ে দাবি করেন, ভারত থেকে এই জমি তাঁরা ফেরত নিয়ে ছাড়বেন।
সারদা সহ ১০২টি চিট ফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেস নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের