For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

রাস্তায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে বান্ধবীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতীয় যুবক

সমস্ত রাস্তা ছেয়ে গেছে ছোট বড় হোর্ডিংয়ে বা সাইনবোর্ডে- সেগুলোতে ইংরেজিতে লেখা "শিভঢ়ে, আই অ্যাম সরি", সঙ্গে একটি লাল রঙের হার্ট - প্রেমের চিহ্ন।

  • By Bbc Bengali

কথা ছিল সে আসবে শুক্রবার। তার আগেই এক দফা ঝগড়া হয়ে গেছে দুজনের। তাই মান ভাঙ্গাতে হবে বান্ধবীর। কিন্তু কী করা যায়?

এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মাথায় খেলে গেল এক 'ক্রিয়েটিভ আইডিয়া'।

রাস্তায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে বান্ধবীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতীয় যুবক

বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সেই আইডিয়ার বাস্তবায়নে সে কাজেও নেমে পড়লো।

আর শুক্রবার সকালে তার ফলাফল দেখতে পেলেন মহারাষ্ট্রের পুনে লাগোয়া এলাকা পিম্পরির বাসিন্দারা।

সমস্ত রাস্তা ছেয়ে গেছে ছোট বড় হোর্ডিংয়ে বা সাইনবোর্ডে - ফ্লেক্সে ছাপানো, কাঠের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট, রোড ডিভাইডারের ওপরে লাগানো।

সেগুলোতে ইংরেজিতে লেখা "শিভঢ়ে, আই অ্যাম সরি", সঙ্গে একটি লাল রঙের হার্ট - প্রেমের চিহ্ন।

প্রথমে কেউ কেউ ভেবেছিলেন কোনও নতুন ছবির বিজ্ঞাপন বুঝি!

তারপরে খবর পেল পুলিশ।

কে লাগালো এত হোর্ডিং! কর্পোরেশনের অনুমোদন ছাড়া হোর্ডিং লাগানো তো বেআইনি!

খুঁজে পাওয়া গেল যে ছাপাখানায় এগুলো ছাপা হয়েছে, তার।

সেখান থেকে জানা গেল ছাপার অর্ডার দিয়েছিল কে!

আর শেষমেশ খুঁজে পাওয়া গেল ২৫ বছর বয়সী নীলেশ খেড়েকারকে। যার মাথায় এসেছিল বান্ধবীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এই 'চমকপ্রদ' পদ্ধতি। ।

বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় ফোনে ধরা গেল ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান মি. খেড়েকারকে।

জানতে চাইলাম, "আপনিই লাগিয়েছিলেন ওই হোর্ডিংগুলো?"

কয়েক সেকেন্ড চুপ। তারপরে বললেন, "এই বিষয়টা খুব ব্যক্তিগত। প্লিজ আমার কাছে কিছু জানতে চাইবেন না।"

কিন্তু ওয়াকাড থানার অফিসার সতীশ মাণে বিবিসি বাংলাকে শোনালেন ঘটনাটা।

"নীলেশের বন্ধুর কাছ থেকেই আমরা জানতে পারি প্রথমে যে বিষয়টা কী। তারপরে ওকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম আমরা। নীলেশের সঙ্গে তার বান্ধবীর ঝগড়া হয়েছিল। তারপরেই মেয়েটি মুম্বাইতে চলে যায়। শুক্রবার সে শহরে ফিরবে, এটা জানতে পেরে বান্ধবীর কাছে সরি বলার জন্য একটা অভিনব উপায় খুঁজছিল নীলেশ। তখনই তার মাথায় আসে যে শহর জুড়ে হোর্ডিং লাগিয়ে চমকে দেবে বান্ধবীকে," হাসতে হাসতে বলছিলেন মি. মাণে।

বান্ধবীর নাম স্বাভাবিক কারণেই প্রকাশ করে তাকে বিব্রত করতে চাইছে না পুলিশ। তবে তারা এটুকু বলছে, নীলেশ তার বান্ধবীকে শিভঢ়ে নামে ডাকত। সেটাই তার পদবী কি না, জানা যায় নি।

তবে বান্ধবীকে চমকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার এই অভিনব উপায় যে তাকে এরকম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে, সেটা বোধহয় বুঝতে পারেন নি নীলেশ।

আর চমক দিতে গিয়ে তার পকেট থেকে খরচও কম হয় নি।

ফ্লেক্স হোর্ডিং ছাপানোর পরে বেশ কিছু যুবককে দিয়ে সেগুলো রাত জেগে রাস্তায় লাগাতে হয়েছে।

পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে কড়কড়ে ৭২ হাজার টাকা।

এত কিছুর পরে নীলেশের সেই বান্ধবী কী ক্ষমা করল তাকে? জানা যাচ্ছে না সেটা।

যে বান্ধবীকে ঘিরে এত কাণ্ড, সে কী আদৌ দেখতে পেয়েছে হোর্ডিংগুলো? কারণ পুলিশে কাছে ধমক খেয়ে হোর্ডিংগুলো রাতারাতি সরিয়ে নিয়েছে নীলেশ আর তার বন্ধুরা।

English summary
Indian young man apologized to girlfriend by putting signboard in the street
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X