ইতিহাসের মুখে দাঁড়িয়ে ঋষি সুনক! ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভুত
যে ব্রিটিশরা ভারতকে শাসন করে গিয়েছিলেন প্রায় ২০০ বছর, সেই ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক। যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর চাপ বাড়ছে। তিনি শীঘ্রই পদত্যাগ করতে চলেছেন।
যে ব্রিটিশরা ভারতকে শাসন করে গিয়েছিলেন প্রায় ২০০ বছর, সেই ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক। যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর চাপ বাড়ছে। তিনি শীঘ্রই পদত্যাগ করতে চলেছেন। তা হলেই প্রথা ভেঙে ভারতীয় বংশোদ্ভুত চ্যান্সেলর ঋষি সুনক ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন।
বরিস জনসনের পর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক, তা নিয়েই ব্রিটিশ রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের মে মাসে তখন লকডাউন। করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় ডাউনিং স্ট্রিটে একটি ড্রিঙ্কস পার্টিতে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। তখন সমালোচনাবিদ্ধ হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তখন থেকেই বিরোধী দল তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছিল। এখন তাঁর নিজের কনজারভেটিভ পার্টিতেও তিনি সমালোচিত হচ্ছেন। তাঁকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি লকডাউনের বিধিভঙ্গের জন্য পার্লামেন্ট ক্ষমাও চান। এই সময় আবার হাউস অফ কমন্স চেম্বার পা পার্লামেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলার ঋষি সুনক। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন বলেই তিনি নিজেকে দূরে দূরে রাখছেন।
তবে এরপরই তিনি ব্যাখ্যা দেন কেন তিনি পার্লামেন্ট অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, "আমি আজ সারাদিন পরিদর্শনে ছিলাম। আমাদের #PlanForJobs-এ কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শক্তি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। এরপর তিনি টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্টে ক্ষমা চাওয়া ছিল একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত।
তিনি টুইটে আরও লেখেন, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে যখন তদন্ত শুরু হয়েছে। স্যু গ্রে যখন তদন্ত চালাচ্ছেন, তখন আমাদের ধৈর্য ধরা উচিত।
সিনিয়র বেসামরিক কর্মচারী স্যু গ্রে বর্তমানে ডাউনিং স্ট্রিটে সরকারি কোয়ার্টারগুলির মধ্যে সমস্ত কথিত লকডাউন লঙ্ঘনের তদন্ত করছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে অনুরূপ ঘটনা একাধিক ঘটেছে, যা দেখিয়ে জনসন তাঁর প্রকাশ্য পার্টিতে যোগদানকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই সময়ে নিয়ম লঙ্ঘন করে সমাবেশে যোগ দেওয়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়ছে। এমনকী তাঁর পদত্যাগ দাবিও করে বসেছেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে চ্যান্সেলর ঋষি সুনকের নাম উঠে আসছে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে। দৌড়ে থাকা অন্যান্য সিনিয়রদের মধ্যে প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব জেরেমি হান্ট এবং স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল, স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেনের থেকে এগিয়ে আছেন ঋষি। বুধবার পার্লামেন্টে জনসনের ক্ষমা চাওয়ার আগে একটি ভোটাভুটিতে দেখা গেছে যে ১০ জনের মধ্যে ছয়জন ভোটার বিশ্বাস করেন যে জনসনের পদত্যাগ করা উচিত, যার মধ্যে ৩৮ শতাংশ যারা গত নির্বাচনে টোরিকে ভোট দিয়েছিলেন।