ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিয়ে এয়ার ক্র্যাশ, রত্নভান্ডার প্রদশিত ফ্রান্সের মিউজিয়ামে
বাক্সটি খুলে পর্বতারোহী দেখেন রয়েছে পান্না, রুবি ও নীলকান্তমণি
সাল ১৯৬৬, ২৪ জনুয়ারি বিমান দুর্ঘটনায় নড়ে ওঠে পুরো বিশ্ব। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ফ্রান্সের মন্ট ব্ল্যাঙ্ক সামিটের কাছে ভেঙে পড়েছিল। বিমানটির নাম ছিল 'কাঞ্চনজঙ্ঘা’। ঘটনায় বিমানের ১১৭ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন বিমানে ছিলেন ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানীও। মৃত্যুর হাত থেকে সেদিন রেহাই মেলেনি হোমি জাহাঙ্গির ভাভারও। সেই সঙ্গে মারা গিয়েছিলেন ১১৭ জন যাত্রী। কেন ঘটেছিল বিমান দুর্ঘটনাটি?
কে প্রথম মূল্যবান সম্পদটি দেখতে পান?
এক ফরাসি পর্বতারোহী ২০১৩ সালে মন্ট ব্ল্যাঙ্ক হিমবাহে বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি ধাতুর তৈরি বাক্স খুঁজে পান। বাক্সটি খুলে তিনি দেখতে পান সেই বাক্সের ভিতরে ছিল পান্না, রুবি এবং নীলকান্তমণির ভাণ্ডার। সম্প্রতি, মূল্যবান সম্পদ ওই পর্বতারোহী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। যা বাজার মূল্য ১৫০.০০০ ইউরো।
বাক্সটি নিয়ে পর্বতারোহী কি জানান
পর্বতারোহী জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে পর্বতারোহণে গিয়ে আচমকাই মূল্যবান পাথরভর্তি বাক্স তাঁর পায়ে লাগে। তখন তিনি বাক্সটি সঙ্গে করে নিয়ে যান । বাক্সটি খুলে তিনি দেখেন তার মধ্যে রয়েছে পান্না, রুবি ও নীলকান্তমণি। তারপর তিনি মূল্যবান ভান্ডারটি পুলিশের হাতে তুলে দেন। চ্যামোনিক্সের মেয়র এরিক ফোর্নিয়ার এএফপিকে বলেন, "এই সপ্তাহে পাথরগুলি ভাগ করে নেওয়া হয়েছে সমান ভাবে। যার মূল্য প্রায় ১৫০.০০০ ইউরো। মেয়র এরিক জানান, চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার ভারতের রত্নগুলি প্রদর্শন করবে।
কেন বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল
বিমান দুর্ঘটনাটির পর প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে ঘটনার তদন্ত করেছিলেন। তদন্তের পর জানতে পারা গিয়েছেল, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭০৭ বিমানটির পাইলট ভেবেছিলেন যে তিনি পর্বতমালা পেরিয়ে এসেছেন, তাই তারা ল্যান্ড করার জন্য বিমান নিচে নামান। যদিও এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল পাইলটকে বিমানের প্রকৃত অবস্থান জানিয়েছিলেন। যদিও পাইলট ভুল করেন। তাই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান সপত্নীক CDS জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সেই সঙ্গে মারা যান আরও ১৩ জন। ঘটনার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ তাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
প্রতীকী ছবি