এবার বেজিংয়ের নজরে উত্তর-পূর্ব ভারত, ব্রহ্মপুত্রের উপর চিনের সুপার-ড্যাম! চিন্তায় নয়াদিল্লি
ফের ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এবার বেজিংয়ের ফোকাস লাদাখ থেকে সরেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে। জানা গিয়েছে, তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপরে বিশাল বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করেছে চিন। উল্লেখ্য, চিনের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের ইয়ারলাং জ্যাংবো।

বাঁধ তৈরির প্রাথমিক কাজকর্ম শুরু
ইতিমধ্যেই এই বাঁধ তৈরির প্রাথমিক কাজকর্ম শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে খবর৷ এই বাঁধ নির্মাণ হলে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবল ভাবে জল কষ্ট দেখা দিতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতি বেজিংয়ের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত চিন্তায় নয়াদিল্লি। স্বশাসিত তিব্বত থেকে উৎপত্তি হওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ অরুণাচল প্রদেশ, অসম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর নাম অসমে ব্রহ্মপুত্র
ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করার পর তার নাম হয় সিয়াং৷ আর অসমে সেটাই ব্রহ্মপুত্র নদ। চিনের প্রস্তাবিত বিশাল বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে উত্তর পূর্ব ভারতের জল নিরাপত্তার উপরে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ব্রহ্মপুত্রের উপরে একাধিক ছোট বাঁধ নির্মাণ করেছে বেজিং।

বাঁধ নিয়ে চিনের দাবি
এদিকে চিনের দাবি, নতুন এই প্রস্তাবিত বাঁধে জলবিদ্যুতের প্রকল্প তৈরি হলে, তা হবে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রকল্প। মধ্য চিনের থ্রি গর্জেস ড্যাম-এর চেয়ে প্রায় তিন গুণ হতে পারে এই ইয়ারলাং জ্যাংবোর সুপার ড্যামের আকার-আয়তন। বেজিংয়ের তরফে দাবি, নতুন এই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে চিনের জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই।

৬০০ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে এই বাঁধ
বাঁধ নির্মাণের জন্য গত ১৬ অক্টোবরেই তিব্বতের স্বশাসিত প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি হয়ে যায়। ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপরে প্রস্তাবিত বাঁধ প্রকল্প বছরে ৬০০ কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃস্বরণ শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চিন৷

নদী নিয়ে ভারত-চিন চুক্তি
এর আগে ২০১৮ সালে ভারত এবং চিন জল সম্পদ, নদীখাত উন্নয়ন এবং গঙ্গা পুনরুজ্জীবিত প্রকল্প সংক্রান্ত একটি মউ সাক্ষর করেছিল। মউতে উল্লেখিত ছিল, নদীখাতের জলস্তর বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছর ভারতকে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে চিনকে। তবে বর্তমানে দুই দেশের সীমান্ত চাপানউতোরের মাঝে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না বেজিং।

ঝড়ের আগের নীরবতা! নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর 'হরেকৃষ্ণ নামে' মিলল কোন ইঙ্গিত?