প্রেমের রঙিন স্বপ্নের সমাপ্তি পাক-জেলের অন্ধকারে, ছ-বছর পর হামিদ ফিরছেন দেশে
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮-র ১৫ ডিসেম্বর। কেটে গিয়েছে ছ-ছ’টি বছর। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে স্থান হয়েছিল পাক-জেলে। আর ফেরা হয়নি।
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮-র ১৫ ডিসেম্বর। কেটে গিয়েছে ছ-ছ'টি বছর। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে স্থান হয়েছিল পাক-জেলে। আর ফেরা হয়নি। প্রেমের টানে নকল পরিচয় পত্র বানিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে তাঁকে। এতদিন পর শেষ হল মাশুল গোনার পালা। এবার ঘরে ফিরবেন তিনি। মঙ্গলবারই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা হামিদ আনসারির সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল এক পাক-তরুণীর। এরপর প্রেমের টানে প্রেমিক হামিদ আনসারি আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন পাকিস্তানে। সেজন্য বানিয়েছিলেন একটি নকল পরিচয়পত্র। এরপর নকল পরিচয়পত্র দেখে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান পুলিশ।
তারপর থেকেই পেশোয়ারের জেলের অন্ধকারে দিন কাটছে তাঁর। বিচারপক্রিয়ার পর তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল পাক আদালত। সেই কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুদিন আগেই অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর। সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
Sources: Indian national Hamid Ansari who is lodged in Kohat Central Jail in Pakistan, to be released tomorrow. pic.twitter.com/AjYSPoCJEX
— ANI (@ANI) December 17, 2018
গত ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত প্রত্যর্পণ করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু হামিদের আইনজীবীর অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার হামিদকে ভারতে ফেরানোর জন্য কোনও নথিপত্রই তৈরি করেনি। ফলে ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে প্রত্যার্পণ সম্ভবপর হয়নি। হামিদের আইনজীবী বিষয়টি পাকিস্তান হাইকোর্টে জানানোর পরই পুনরায় উদ্যোগ শুরু হয়। জট কাটিয়ে কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর মঙ্গলবার তাঁকে ভারতে পাঠানো হচ্ছে।