বিশ্ব জুড়ে কর্মী বরখাস্তের মধ্যে সুখবর, ছাঁটাই কর্মীদের চাকরির প্রস্তাব ভারতীয় কার্য নির্বাহী প্রধানের
ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যেই ভারতীয় সিইও-য়ের চাকরির প্রস্তাব
ঠিক যে সময় একের পর এক সংস্থাকে কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যখন আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়রা পাগলের মতো চাকরি খুঁজছেন, কারণ ৬০ দিনের মধ্যে চাকরি না পেলে তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে, এই সময় এক ভারতীয় কার্য নির্বাহী প্রধান কানাডা ও আমেরিকায় চাকরি হারানো কর্মীদের তাঁর সংস্থায় কাজের আহ্বান জানান।
চাকরি হারানো ভারতীয়দের আহ্বান
ড্রিম ১১-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থার কার্য নির্বাহী আধিকারিক হর্ষ জৈন সম্প্রতি চাকরি হারানো ভারতীয় বিশেষ করে কানাডা ও আমেরিকায় যাঁদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের চাকরির আহ্বান করেন। এই বিষয়ে তিনি একাধিক টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমেরিকা জুড়ে প্রায় ৫২ হাজার প্রযুক্তিবিদ চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেক ভারতীয় রয়েছেন, যাঁদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। তিনি তাঁদের জন্য একটি ইমেল আইডি দেন। সেখানে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের যোগাযোগ করার আহ্বান করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, তাঁর সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী যে প্রযুক্তিবিদরা উপযুক্ত হবেন, তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, ড্রিম ১১ সংস্থাটি ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লাভ জনক সংস্থা। এছাড়াও তিনি জানান, বিশ্বে ১৫০ মিলিয়ন বেশি ড্রিম ১১ ব্যবহারকারী রয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থার কর্মী ছাঁটাই
বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা ও ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির জেরে একাধিক সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়েন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইনেটফ্লিক্স কর্মী ছাঁটাই করেন। টুইটার কেনার পরে বিশ্ব জুড়ে ৩,৬০০ কর্মীকে বরখাস্ত করেন। চলতি সপ্তাহে মার্ক জুকারবার্গ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ হাজার কর্মীকে তাঁরা বরখাস্ত করেন। পাশাপাশি মাইক্রোসফট, অ্যামাজনের মতো সংস্থা প্রচুর কর্মীকে বরখাস্ত করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যামাজনের এক কর্মী জানিয়েছেন, সংস্থার রোবটিক বিভাগের সমস্ত কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভারতীয়দের ভিসার সমস্যা
আমেরিকায় এইচ-১বি অধীনে থাকা বিদেশি কর্মীদের চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে হবে। তা না হলে, তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। কানাডাতেও ভিসা সংক্রান্ত একই ধরনের নিয়ম রয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারতীয় অনেক প্রযুক্তিবিদ চাকরি হারিয়েছেন। বর্তমানে আর্থিক সঙ্কোচনের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা। বেশির ভাগ সংস্থা কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক প্রবাসী ভারতীয় আশঙ্কায় রয়েছেন, তাঁরা যদি চাকরি না পান, সেক্ষেত্রে তাঁদের ফিরে আসতে হবে।
বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই বিশেষজ্ঞরা বিশ্বজুড়ে আর্থিক সঙ্কটের সতর্ক করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে আর্থিক সঙ্কট শুরু হবে। ২০২৩ সালে যা ব্যাপক আকার ধারণ করবে। ২০২৪ সালের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই আর্থিক সঙ্কটের জেরে বহু মানুষ চাকরি হারাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, করোনা মহামারীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আবার অনেকে মনে করছেন, ভূরাজনৈতিক তীব্র অস্থিরতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে এই সঙ্কট।