পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশ থেকে নজরদারি চালাচ্ছে চিনা বায়ুসেনা, সজাগ দৃষ্টি ভারতীয় সেনারও
গালওয়ানে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর এবার পা অধিকৃত কাশ্মীরেও চিন সেনার গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ভারতের উপর বাড়তি চাপ বাড়াতেই বর্তমানে এই কৌশল নিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আকাশপথে চলছে নজরদারি। এমতাবস্থায় ওই এলাকার সীমান্তবর্তী স্থান গুলিতেও সদা সজাগ দৃষ্টি রাখছে ভারতীয় সেনাও।

পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকেই নজরদারি চালাচ্ছে চিনা বায়ু সেনা
এদিকে গত সপ্তাহেই একটি চিনা রিফুয়েলার বিমান স্কার্ডুতে অবতরণ করে বলে জানা যায়। এছাড়াও, পূর্ব লাদাখের পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও চিনের বায়ু সেনার গতিবিধি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। গত কয়েকদিনেও ওই এলাকায় পিএলএএফ-র বেশ কিছু চপারকেও ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটি ব্যবহার করেই চলছে অনুপ্রবেশ
এদিকে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের কাছে ভারতীয় সেনারও কড়া নজরদারি লক্ষ্য করে গেছে। এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর থেকে হঠাতই 'নিখোঁজ' হয়ে গিয়েছে ২০০ যুবক। একইসাথে সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকেই কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটায় পাকিস্তান। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা করোনা আবহে যখন গোটা দেশ লড়াই করছে, সেখানে পাকিস্তান বারবার কাশ্মীরে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ২০০ তরুণকেও কাজে লাগানো হতে পারে একই কাজে।

তৎপরতা বাড়িয়েছে ভারতীয় বায়ু-সেনাও
এদিকে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ ও চিনের তৎপরতার পড়েই নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় বায়ু-সেনাও। চলছে কড়া নজরদারি। আরও কিছু বাড়তি সৈন্যও মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতের উপর নজরদারি বাড়াতে জিনজিয়াংয়ের হোতান বিমানঘাঁটি ইতিমধ্যেই সু-২৭ ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে চিনা বায়ুসেনা।

বিমান ঘাঁটির পরিচালনার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা ভারতের
এদিকে তিব্বতের আশেপাশে পিএলএএএফ-র বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। তার মধ্যে জিনজিয়াংয়ের হোতান বিমানঘাঁটিটি অন্যতম। যদিও যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে বা কোনপ্রকার সংকটের সময় এই বিমানঘাঁটি গুলিতে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য অনেক অসুবিধায় পড়তে হয় চিনা সেনা দের। প্রায় ৪০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত হওয়ায় জ্বলানি, অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেও বিশেষ বেগ পেতে হয়। অন্যদিকে ভারতীয় বায়ু-সেনার বিমান ঘাঁটি গুলি হরিয়ানা, পাঞ্জাবের অপেক্ষাকৃত সমতল ভূমিতে হওয়ায় তা সেনাকে বাড়তি সুবিধা দেয়।