হেরে গিয়েও জিততে মরিয়া ট্রাম্প, পেন্টাগনে গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় না নেওয়ার ইঙ্গিত যেন ক্রমেই প্রবল হচ্ছে মার্কিন মুলুকে। নির্বাচনে হারের কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার ছাড়াও ওই বিভাগেরই আরও চার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাদের বদলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ট্রাম্পের বিশ্বস্তদের বসানো হচ্ছে। এতেই বেড়েছে জোর জল্পনা।
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা করে লাভ নেই
শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা করে যে লাভ নেই তা বুঝেছেন জো বাইডেন নিজে। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং রিপাবলিকানরা পরাজয় মেনে নেননি। এই আবহেই মার্ক এসপারকে সরানোর পর পেন্টাগনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরই মাঝে ট্রাম্প বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি টুইট করেন। এসব টুইটে তিনি দাবি করেন, ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং আমরাই বিজয়ী হবো।
পেন্টাগনের পদ থেকে সরানো হয় একাধিক জনকে
এসপারের পরেই পদ হারিয়েছেন পেন্টাগনের নীতিবিষয়ক প্রতিরক্ষা সচিব জন অ্যান্ডারসন, গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিরক্ষা সচিব জোসেফ কার্নান এবং পেন্টাগন চিফ অফ স্টাফ জেন স্টুয়ার্ট। এই পরিস্থিতিতে পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হল ভারতীয় বংশদ্ভূত তথা ট্রাম্পের অনুগত হিসাবে পরিচিত কাশ প্যাটেল।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব ও বাধা সৃষ্টি করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ডেমোক্র্যাট শিবির।
সরানো হতে পারে আরও আধিকারিককে
যে সমস্ত মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অতীতে ট্রাম্পের বিরোধিতা দেখা গিয়েছে তাদের ছেঁটে ফেলতে চাইছেন তিনি, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে যেভাবে ট্রাম্প এগোচ্ছেন তাতে খুব তাড়াতাড়ি পদ খোয়াতে পারেন ডেপুটি সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স ডেভিড নরকুইস্ট। এমনকী ট্রাম্পের নিশানায় রয়েছেন জয়েন্ট জেনারেল চিফস অফ স্টাফ মার্ক এ মিলিও।
তেজস্বী বন্দনায় বিজেপি নেত্রী! বিহারে গেরুয়া প্রভাব বাড়তেই রাজনৈতিক সমীকরণ কোন পথে?