চিনকে রুখতে ভারতের পাশে বিশ্বের তাবড় দেশগুলি, দ্বন্দ্ব ভুলে সামরিক সাহায্য রাশিয়া-আমেরিকার!
সেদেশের একটা শহর থেকে বিশ্ব মহামারি তৈরি হওয়ার পর, লাদাখে চিনের যে দখলদারির উচ্চাকাঙ্খা সামনে এসেছে৷ তখন রাশিয়া এবং আমেরিকার মতো বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সমঝোতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহেই কয়েকদিন আগে মস্কো সফরে যান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রাজনাথের মস্কো সফর
বর্তমান ভারত-চিন উত্তপ্ত পরিস্থিতি মাথায় রেখে তাঁর মস্কো সফরে এস-৪০০ ট্রায়ামফ দীর্ঘ পরিসীমার ভূমি থেকে বায়ু মিসাইল সিস্টেম দ্রুত অর্জন করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। আর এর ফল হাতেনাতে পেল ভারত। সব বিলম্ব, বাধা দূর করে শীঘ্রই দেশে আসতে চলেছে এই অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম।
কবে আসছে এস-৪০০ মিসাইল
এই প্রতিরক্ষা সিস্টেমটি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে ভারতে পাঠানোর কথা থাকলেও এই বছর নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়, সারাবিশ্বে সিস্টেমটির চুক্তি ১৬ বিলিয়ন অতিক্রম হয়ে যাওয়ায় ২০২৫ সাল অবধি সরবরাহ বিলম্বিত হবে। তবে রাজনাথের প্রচেষ্টায় রাশিয়া এবার দ্রুত এই সিস্টেম ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
কী এই এস-৪০০ মিসাইল?
এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশপথে তিন ধরণের টার্গেটকে মোকাবিলা করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বিমান, চালকবিহীন ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল। ৪০০ কিলোমিটার পাল্লায়, ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত এটি আঘাত হানতে সক্ষম। এটি একসঙ্গে ৩৬টি নিশানা করতে পারে।
চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকার গর্জন
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যখন ৭৫তম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে তিনদিনের সফরে রাশিয়ায় যান৷ ঠিক তখনই মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বললেন, চিনের থেকে ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় বিপদ সামলাতে, ইউরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে সেনা পাঠানো হচ্ছে।
প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে প্রধান সহযোগী ভারত
এর আগে ২০১৬ সালে আমেরিকা ভারতকে 'প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে প্রধান সহযোগী'-র মর্যাদা দেয়, যা নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ও সহযোগীদের সমকক্ষ করে তোলে। এর ফলে অ্যামেরিকা ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি আদানপ্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেয়।
ভারত-আনেরিকার সঙ্গে জাপান-অস্ট্রেলিয়া
এদিকে ভারত ও আমেরিকার সঙ্গে জাপান, অস্ট্রেলিয়া মিলে এক চতুর্শক্তি গঠন করেছে। যার অংশ হিসাবে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি চায়। এই অঞ্চল জাপানের পূর্ব উপকূল থেকে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ক্রমবর্দ্ধমান তৎপরতা এবং আগ্রাসী মনোভাবের দিকে তাকালে এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দক্ষিণ চিন সাগর ছাড়াও, চিন ইদানীং জাপান ও তাইওয়ানের সঙ্গে আঞ্চলিক বিবাদেও জড়িয়েছে।
চিনের তৈরি এই ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা
চিনের তৈরি এই ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে, রাশিয়া এবং আমেরিকার মতো প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সমঝোতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব' রয়েছে, সেখানে অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্কও ‘সার্বিক আন্তর্জাতিক কৌশলগত সম্পর্কে' উন্নিত হয়েছে।
লাদাখে উত্তেজনার ফায়দা তুলে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে আইএসআই! হাই অ্যালার্ট জারি দিল্লি-কাশ্মীরে