পূর্ব লাদাখে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইজরায়েল থেকে দ্রুত অস্ত্র কিনতে চায় ভারত
পূ্র্ব লাদাখে ভারতের সঙ্গে চিনের বিরোধ নিষ্পত্তি বিশ্লেষণ করে শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং টেলিফোনে আলোচনা সারলেন তাঁদের ইজরায়েলি প্রতিপক্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেঞ্জামিন গ্যান্টজের সঙ্গে। জানা গিয়েছে সরকারি সূত্র থেকে।
শুক্রবার আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল চলমান প্রতিরক্ষা সংগ্রহ কর্মসূচীর দ্রুত বাস্তবায়ন এবং পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা সম্পর্ককে আরও বাড়ানো। সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, 'পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের অবস্থান বিশদভাবে আলোচনার সময় দুই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কথায় আঞ্চলিক সুরক্ষার দৃশ্যটি ফুটে ওঠে।’ মূলত ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের আলোচনার বিষয়বস্তুই হল যাতে ভারত দ্রুত ইজরায়েলের কাছ থেকে বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করতে পারে। প্রসঙ্গত, চিনের সামরিক শক্তিকে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ করছে ভারত। রাশিয়ার পর এবার ইজরায়েল থেকেও অস্ত্র আনার প্রস্তুতি সারছে।
প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনাথ সিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল গ্যান্টজকে প্রতিরক্ষা উৎপাদন খাতে ভারত যে বড় ধরনের সংস্কার শুরু করেছিল সে সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন এবং ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে অস্ত্র ও সামরিক হার্ডওয়্যারের যৌথ বিকাশে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির বৃহত্তর অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এটা সকলেই জানে যে ইজরায়েলের থেকে সামরিক হার্ডওয়্যার কেনার বৃহত্তর ক্রেতা হল ভারত। ইজরায়েল এর আগেও ভারতকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, মিসাইল এবং চালক বিহীন যান বহু বছর ধরে সরবরাহ করে চলেছে। কিন্তু জাতীয় সুরক্ষার কারণে এই দুই দেশের সামরিক চুক্তি পর্দার আড়ালে রয়ে গিয়েছে।
এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে সিং এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল গ্যান্টজ দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রগুলিকে আরও জোরদার করার সম্ভাবনাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, 'কোভিড–১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গবেষণা ও বিকাশ নিয়েও দুই দেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তাঁরা জানিয়েছে এই গবেষণা শুধু দুই দেশের কাজে লাগবে তা নয় বরং বৃহত্তর মানবিক কারণেও সহায়তা করবে।’
চিনকে জবাব দিতে আমেরিকা রাশিয়ার পর এবার ইজরায়েলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সহায়তা নেবে ভারত। ইজরায়েলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের শক্তির তারিফ করে সারা বিশ্বই। ইজরায়েলি প্রযুক্তিতে তৈরি সশস্ত্র হেরন ড্রোন লাদাখ সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি, ইজরায়েলি স্পাইডার মিসাইলও রয়েছে ভারতী বাহিনীর হাতে। তবে সীমান্ত সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে স্পাইডার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের সঙ্গেই অন্যান্য প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম ইজরায়েল পাঠাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়নি।