ঠিক কী কারণে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল? রাষ্ট্রসংঘে খোলসা ভারতের
২০১৯ সালে বালাকোটে চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে পাকিস্তানকে দায়ী করল ভারত। এদিন ভারত রাষ্ট্রসংঘএর নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকে জানায়, আত্মরক্ষার স্বার্থেই এই অভিযান চালাো হয়েছিল। পাশাপাশি এই পরিস্থিতির জন্যে ভআরত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে। ভারতের বক্তব্য, সীমান্ত পার করে জঙ্গিদের মেরেছিল ভারত।
কী কারণে বালাকোট স্ট্রাইক?
এদিন ভারতের পক্ষ থেকে নাগরাজ নাইডু বলেন, 'একটি রাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে আগেভাগে এই ধরনের হামলা চালাতে বাধ্য হবে। যখন একটি অন্য দেশের দ্বারা পরিচালিত জঙ্গিরা সশস্ত্র হামলা চালায়, সেই ক্ষেত্রে আমাদের আর কিছু করার থাকে না। আত্মরক্ষা করতে বৈধ আত্মরক্ষামূলক অস্ত্র ব্যবহার করেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল।'
পুলওয়ামা হামলা
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়ি চালিয়ে আসা এক আত্মঘাতী জঙ্গি কাশ্মীরের কাছে পুলওয়ামায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের একটি কনভয়ের উপর আক্রমণ চালায়, এই ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এই হামলার পাল্টা জবাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ু সেনা বালাকোটের জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরে আঘাত হানে।
৭১-এর পর প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হানা
বালাকোট পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত এবং ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের মাটিতে বিমান হানা চালায় ভারত। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয়ে উঠেছিল যে মনে হয়েছিল দ্বৈরথ অবশ্যম্ভাবী। পরের দিন, পাকিস্তানী বায়ু সেনা পাল্টা অভিযান চালায় কিন্তু তা কোনও আঘাত হানতে ব্যর্থ হয়।
পাকিস্তানের এফ-১৬ বনাম ভারতের মিগ-২১
যদিও সেই বিমানযুদ্ধে একদিকে যেমন ভারত পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ বিমানকে গুলি করে নামিয়েছিল, অন্যদিকে ভারতও তাদের একটি মিগ-২১ বিমান হারায় এবং পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান থেকে বেরোতে বাধ্য হওয়া সেই বিমানের চালককে পাকিস্তানী সেনা আটক করে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের চাপের জেরে ভারত, পাকিস্তান দুইপক্ষই সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে এবং আটক বিমানচালককে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান।