লাদাখের পাল্টা দাওয়াই হিসাবে হংকং নিয়ে সরব দিল্লি! ভারতের কড়া নজরদারিতে অস্বস্তিতে বেজিং
লাদাখ নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে ভআরত ও চিনের মধ্যে। এই আবহে এতদিন হংকং নিয়ে মুখে কুলুর এঁটেছিল ভারত। তবে এবার লাদাখের পাল্টা দাওয়াই হিসাবে বেজিংকে চাপে ফেলতে হংকং নিয়ে সরব হল ভারত। হংকংয়ের জন্য চিনের নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে হাতিয়ার করে কূটনৈতিকভাবে বেজিংকে প্যাঁচে ফেলার পথে হাঁটল নয়াদিল্লি।
হংকংয়ের বিষয়ে ভারত প্রথমবার মুখ খুলল
হংকংয়ের বিষয়ে ভারত প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তব্য পেশ করল। ভারত জানিয়ে দিল, স্বশাসিত হংকংয়ে প্রচুর ভারতীয় বসবাস করেন। তাই হংকংয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত।
হংকং নিয়ে কী বলে ভারত?
জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাজীব কে চান্দের বলেন, ‘এই নয়া বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমরা একাধিক বিবৃতি শুনেছি। আমাদের আশা, উপযুক্ত পক্ষ (চিন) এই মতামত বিবেচনা করবে এবং সঠিকভাবে, গুরুত্বের সঙ্গে ও নিরপেক্ষভাবে সেগুলির সমাধান করবে।'
হংকয়ের রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ
এদিকে হংকয়ের রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ৷ জড়ো হয়েছে প্রায় ১০০০ জনেরও বেশি লোক৷ কারও হাতে স্বাধীন হংকয়ের পতাকা৷ কারও হাতে স্লোগান বোর্ড৷ আর তাতে রয়েছে ব্রিটেনের পতাকা৷ বিক্ষোভকারীদের সরাতে তৎপর হংকং পুলিশ৷ ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস, গোলমরিচের গোলা, রবারের বুলেট, এমনকী জলকামানও৷ গতকালের হংকয়ের রাস্তার এই ছবি চিন কর্তৃক আরোপিত বিতর্কিত জাতীয় সুরক্ষা আইনের প্রতিবাদের৷ গতকাল হংকংয়ে লাগু হয়েছে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন৷ আর গতকালই আইনভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৭০ জন হংকংবাসী৷
যেই আইন নিয়ে সমস্যা
চিন কর্তৃক আরোপিত হংকংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইন নিয়ে বহুদিন ধরে বির্তক চলছে৷ প্রতিবাদও চলছে বহুদিন ধরে৷ মঙ্গলবার সকালে আইনটি অনুমোদিত হলেও, জনসাধারণকে আইনটি সম্বন্ধে জানানো হয় মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ৷ তারপর গতকাল থেকে আইনটি পুরোদমে লাগু করা হয়৷ সেই সময়ই অল্প সংখ্যক লোক আইনটির প্রতিবাদ করে৷ দিনের সাথে সাথে প্রতিবাদ বড় আকারের বিক্ষোভে পরিণত হয়৷ আইনটিকে পড়তে হয় সমালোচনার মুখেও৷
ক্যারি ল্যামের বক্তব্য
হংকয়ের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষা কমিটির মুখ্য কার্যনিবাহী ক্যারি লেম বলেন, ১৯৯৭ সালে হস্তান্তরের পর চিন-হংকয়ের কূটনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করতে এই আইনটি গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি এই আইনের শাস্তি প্রদানের বিষয়টি নিয়ে বলেন, এই আইনটির উদ্দেশ্য 'কেবল শাস্তি প্রদান নয়, প্রতিরোধ করাও ছিল।' মানবাধিকার আইন লঙ্খিত হচ্ছে বলে প্রশ্ন ওঠার বিষয়টিকে নিয়ে তিনি বলেন, 'কিছু মানবাধিকার নিরঙ্কুশ ছিল না।'
চিন-পাক জোটকে পাল্টা মার দিতে তৈরি ভারত! লাদাখ ও কাশ্মীরে তোড়জোড় শুরু সেনার