চাঁদে জলের সন্ধান এনে দিল ভারতের 'চন্দ্রযান-১', হইচই বিজ্ঞানী মহলে
নাসার 'মুন মিনেরালজি ম্যাপার' থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ভারতের চন্দ্রযান-১ চাঁদের মাটিতে জলের উৎস নিয়ে ম্যাপ তৈরি করে ফেলল। ২০০৯ সালে জলের প্রাথমিক উৎস সন্ধানের পর ও জলের মতোই আর এক যৌগ হাইড্রক্সিল-এর সন্ধান পাওয়ার পরে করা এক গবেষণায় বিস্তারিত উল্লেখ করে তা বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে পাওয়া হাইড্রক্সিল একটি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেন অ্যাটম দিয়ে তৈরি।

এই গবেষণা পত্রের অন্যতম প্রধান শুই লি জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে প্রথমে রিপোর্ট ছিল মেরু প্রদেশেই সম্ভবত জলের উৎস রয়েছে। তবে এখন দেখা গিয়েছে, প্রায় পুরো চাঁদজ জুড়েই চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের উৎসের খোঁজ মিলেছে।
উচ্চ পার্বত্য এলাকায় সেই জলের পরিমাণ ৫০০-৭৫০ পার্টস প্রতি মিলিয়ন। পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম মরু এলাকাতে যতটা কম জল থাকে তার চেয়েও এই পরিমাণ কম। তবে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই পরিমাণ জলও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়।
এই গবেষণাকে মূলত রোডম্যাপ ধরে এগিয়ে চাঁদে জলের উৎসের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের কোথায় কোথায় কত পরিমাণে জল রয়েছে তা এখন জেনে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার জেল জলকে কীভাবে কাজে লাগানো সম্ভব তা নিয়ে গবেষণা করবেন বিজ্ঞানীরা।