বালাকোটে ভারতের হামলায় বিধ্বস্ত জইশের জঙ্গি ঘাঁটি, স্বীকার পাক রেলমন্ত্রীর
পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট সাড়ে তিনটে নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে বালাকোট, মুজফফরাবাদ ও চাকোতিতে হামলা চালায়।
পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট সাড়ে তিনটে নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে বালাকোট, মুজফফরাবাদ ও চাকোতিতে হামলা চালায়। জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে বালাকোটে জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটি ছিল। তা সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দেয়।
এই জঙ্গি ঘাঁটির দায়িত্বে ছিল জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের আত্মীয়রা। এখানে মাদ্রাসা খুলে তার আড়ালে বিশাল জঙ্গি শিবির খুলে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল আজহার।
ভারতের হামলার পর পাকিস্তান প্রশাসন প্রথমে হামলার খবর অস্বীকার করে। পরে অবশ্য জানায়, ভারত ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলে গিয়েছে। আবার ভারতীয় বিমানকে ধ্বংসও করেছেন তাঁরা।
তবে এদিন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ স্বীকার করে নিলেন, সেদিন ১৪টি ভারতীয় বিমান এসেছিল আজহারের শিবির ধ্বংস করতে। অপারেশন চালাচ্ছিল চারটে বিমান। বাকী ১০টি প্রতিরক্ষায় ব্যবহার হয়েছিল। এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে টাইমস নাও চ্যানেলে।
বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে হামলায় এটাই প্রথম পাকিস্তানের তরফে স্বীকার করা প্রথম বিবৃতি বলে জানা গিয়েছে।
এদিন নয়াদিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিন সেনার তরফে প্রমাণ পেশ করে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করা হয়েছে। সঙ্গে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান বেচাল করলে ভারত ফের যোগ্য জবাব দেবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিন সেনার আধিকারিকেরাই।