চিনা অ্যাপ ব্যান করেও খান্ত হয়নি ভারত! বেজিংয়ের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে কোন পদক্ষেপ দিল্লির
বেজিংয়ের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে কোন পদক্ষেপ দিল্লির
লাদাখ নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে ভারত ও চিনের মধ্যে। এই আবহে এতদিন হংকং নিয়ে মুখে কুলুর এঁটেছিল ভারত। তবে এবার লাদাখের পাল্টা দাওয়াই হিসাবে বেজিংকে চাপে ফেলতে হংকং নিয়ে সরব হল ভারত। হংকংয়ের জন্য চিনের নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে হাতিয়ার করে কূটনৈতিকভাবে বেজিংকে প্যাঁচে ফেলার পথে হাঁটল নয়াদিল্লি।
অশান্ত হংকং
হংকয়ের রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ৷ জড়ো হয়েছে প্রায় ১০০০ জনেরও বেশি লোক৷ কারও হাতে স্বাধীন হংকয়ের পতাকা৷ কারও হাতে স্লোগান বোর্ড৷ আর তাতে রয়েছে ব্রিটেনের পতাকা৷ বিক্ষোভকারীদের সরাতে তৎপর হংকং পুলিশ৷ ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস, গোলমরিচের গোলা, রবারের বুলেট, এমনকী জলকামানও৷ গতকালের হংকয়ের রাস্তার এই ছবি চিন কর্তৃক আরোপিত বিতর্কিত জাতীয় সুরক্ষা আইনের প্রতিবাদের৷ গতকাল হংকংয়ে লাগু হয়েছে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন৷ আর গতকালই আইনভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৭০ জন হংকংবাসী৷
হংকংয়ের বিষয়ে ভারতের চাপ সৃষ্টি
এই আবহে লাদাখের পাল্টা দাওয়াই হিসাবে হংকংয়ের বিষয়ে ভারত এই প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তব্য পেশ করল। ভারত জানিয়ে দিল, স্বশাসিত হংকংয়ে প্রচুর ভারতীয় বসবাস করেন। তাই হংকংয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত।
কী বলা হয় ভারতের তরফে?
জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাজীব কে চান্দের বলেন, ‘এই নয়া বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমরা একাধিক বিবৃতি শুনেছি। আমাদের আশা, উপযুক্ত পক্ষ (চিন) এই মতামত বিবেচনা করবে এবং সঠিকভাবে, গুরুত্বের সঙ্গে ও নিরপেক্ষভাবে সেগুলির সমাধান করবে।'
রাষ্ট্রসংঘে বড় ধাক্কা খেল চিন
এদিকে কয়েকদিন আগেই করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ হামলায় কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান। আর সেই হামলার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর ভিত্তিতেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওই হামলার নিন্দায় একটি বিবৃতি পেশ করার প্রস্তুতি শুরু করে চিন। তবে ভারত বিরোধী সেই বিবৃতি একজোট হয়ে আটকে দিল আমেরিকা ও জার্মানি।
চিনের চোখে চোখ রেখে লাদাখে হাজির স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী! চিনকে চমকে দিয়ে এলএসি ইস্যুতে কড়া বার্তা