দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দর্পের দাঁত ভাঙতে ভারতের মাস্টারপ্ল্যান! সংঘাত-কূটনীতিতে দিল্লির পদক্ষেপ শুরু
দক্ষিণ চিন সাগর জুড়ে চিন এতদিন একছত্র ক্ষমতা ক্রমাগত দেখিয়ে এসেছে। জলপথ জুড়ে পাকিস্তান থেকে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়ার বন্দর এলাকায় একাই দোর্দণ্ডপ্রতাপ ক্ষমতা ধরে রেখেছিল চিন। এমন পরিস্থিতিতে সেই দাপটের অহংকার চুরমার করতে নয়া দিল্লি নিতে শুরু করেছে বড়সড় পদক্ষেপ।
দক্ষিণ চিন সাগর জুড়ে ভারতের পদক্ষেপ
দক্ষিণ চিন সাগর এলাকা জুড়ে যে সমস্ত দ্বীপ ভারতের অধীনে রয়েছে , এবার সেখানে পরিকাঠামো গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারত। এলাকাগুলিতে পরিকাঠামো গঠন করে দিল্লি চাইছে বেজিংকে স্পষ্টভাষায় বুঝিয়ে দিতে যে দক্ষিণ চিন সাগরে একা চিনেরই দাপট নেই!
নজরে আন্দামান
ইতিমধ্যেই আন্দামান নিকোবর দ্বীপে ভারত ইন্টানেট পরিষেবা মজবুতের কাজে এগিয়ে গিয়েছে। আন্দামান নিকোবর দ্বীপজুড়ে একাধিক উন্নয়নের কাজ শুরু হচ্ছে। এই এলাকাকেই নৌসেনা নিজের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি করতে চাইছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের তাবড় বাণিজ্যিক যাতায়াতের রাস্তায় থাকা এই দুই দ্বীপকে ঘিরে ভারত ক্রমেই একাধিক বড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
যুদ্ধবিমান চলাচলের মাটি প্রস্তুত
সেনা সূত্রের খবর, আইএনএস কোহাসায় এয়ারস্ট্রিপকে মজবুত করছে দিল্লি। অন্যদিকে, উত্তর আন্দামানে শিবপুর, নিকোবরের ক্যাম্পবেল স্ট্রিপে যুদ্ধবিমান চলাচলের জন্য ফাইটার বেস বানাোর কাজ এগিয়ে গিয়েছে।
থাই ক্যানেল ও ভারতের কূটনীতি
এদিকে, লাক্ষাদ্বীপ রয়েছে নাইন ডিগ্রি চ্যানেলে । অন্যদিকে, আন্দামান ও নিকোবর ছয় ও দশ ডিগ্রি চ্যানেলে (অক্ষাংশের হিসাবে) থেকে ভারতের সেনাকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও উত্তর এশিয়া দুটি দিকেই নজরদারিতে সহায়তা করতে পারে। তাই নজরে রাখা হয়েছে আন্দামানবও লাক্ষাদ্বীপের মতো এলাকাকে। এদিকে, ছাই ক্যানেল নিয়ে চিনের অত্যুৎসাহকে ঘিরে দিল্লি কড়া পাহাড়ায় রয়েছে। এই ক্যানেলের দ্বারা থাইল্যান্ড উপসাগর ও আন্দামান সাগর সংযুক্ত হবে। যা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিষয়।
থাই ক্যানেল , চিন ও ভারতের নিরাপত্তা
উল্লেখ্য, থাই ক্যানাল নিয়ে ব্যাঙ্কক প্রথম থেকে খুব একটা খুশি ছিল না। গত ৭০ বছর ধরে যে বিষয়টি নিয়ে থাই-রাজনীতিতে বহু অধ্যার পার হয়েছে, তাতে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছিল। তবে চিনের দেওয়া অর্থে তৈরি এই বিশাল প্রজেক্টে শেষমেশ থাইল্যান্ডকে রাজি হতেই হয়েছে। শোনা যায়, থাইল্যান্ডের কট্টর চিন বিরোধী পার্টিগুলিও শেষমেশ এই ক্যানেলের নির্মাণে রাজি হতে যায়। যার নেপথ্যের কাহিনী ঘিরেও জল্পনা থাকছে। সব মিলিয়ে থাই ক্যানেল ঘিরে ক্রমেই দিল্লির ফোকাস পোক্ত হচ্ছে।