চিনের পাশাপাশি বাড়ছে ভারত-নেপাল দ্বন্দ্বও! বিহার সীমান্তে বাঁধ সংস্কারে বাধা প্রতিবেশী দেশের
চিনের পাশাপাশি বাড়ছে ভারত-নেপাল দ্বন্দ্ব! বিহার সীমান্তে বাঁধ সংস্কারে বাধা প্রতিবেশী দেশের
ইন্দো-নেপাল দ্বন্দ্বের সুর আরও চড়ছে। এবার ভারতের বাঁধ মেরামতের কাজে বাধা দিল নেপাল। যার জেরে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ অবস্থার মধ্যে চলে যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কয়েকদিন আগে তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। এমনকি লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ, কালাপানির আবহাওয়ার খবরের আপডেটও দেওয়া হয় নেপালি রেডিও স্টেশনে।
বাঁধ সংস্কার নিয়ে আবারও উত্তেজনা বিহার সীমান্তে
অন্যদিকে এই নিয়ে টানাপোড়ন মাঝেই বিহারের সীতামারি জেলায় একজন কৃষক গুলি করে খুন করে নেপালের সীমান্ত রক্ষীরা। এবার এই দ্বন্দ্বের মাঝেই এবারও উত্তেজনা বাড়ল বিহার সীমান্তে। ইচ্ছাকৃত-ভাবে গণ্ডক বাঁধ সংস্কারের কাজে বাধা দিচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানিয়েছে নীতিশ কুমারের প্রশাসন।
আরও অবনতি হতে পারে নেপালের বন্যা পরিস্থিতির
এদিকে নিম্নচাপের জেরে অতিভারী বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই বিহারের একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সঙ্গে দোসর মৌসুমি বায়ু। পাশাপাশি বিহার সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্য পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল বা এনডিআরএফ। এমতাবস্থায় গণ্ডক বাঁধ সংস্কারে নেপালের বাধা পুরো পরিস্থিতিকে আরও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিহার সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝাঁ।
কী দাবি করছে নেপাল ?
সূত্রের খবর, নেপাল সীমান্তের কাছে পূর্ব চম্পারণ জেলায় গণ্ডক বাঁধ সংস্কারের কাজ করছিল বিহারের জলসম্পদ দপ্তর। কিন্তু অভিযোগ ওই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে জোর করে সেই কাজ বন্ধ করেছে নেপাল। এদিকে বহুদিন আগেই লালবাঁকি নদীর উপরে গণ্ডক বাঁধ তৈরি হয়েছে। এতদিন কোনও সমস্যাই হয়নি। বর্তমানে জোর করে সেই জায়গায় নেপাল সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে বলে জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
নেপালের দূতাবাসেও জানানো হয়েছে সমস্যার কথা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি গোটা ঘটনার কথা ভারতে থাকা নেপালের দূতাবাসে জানানো হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে ভারী বৃষ্টির জের গণ্ডক নদীর জলস্তর আরও বাড়লে বিহারের একটা বড় অংশ প্লাবিত হতে পারে মনে করছেন সঞ্জয় ঝাঁ। তিনি আরও জানান গণ্ডক ব্যারেজের ৩৬টি গেট রয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি নেপালের। বর্তমানে রাজ্যে বন্য পরিস্থিতি রুখতে প্রতিবছরের মত এবারেও ওই অংশের গেট গুলি মেরামত করতে গেলে সেখানেই নেপালের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
লাদাখ নিয়ে চিনকে কোনও ছাড় নয়! কড়া বার্তা দিতে আজ লেহ পরিদর্শনে সেনাপ্রধান মুকুন্দ নারাভানে