দোহায় শুরু তালিবান-আফগান শান্তি আলোচনা, সম্মেলনে যোগ দিয়ে যা বললেন এস জয়শঙ্কর
আজ শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয় আফগানিস্তান সরকার ও তালিবানদের মধ্যকার শান্তি আলোচনা। এদিন দোহায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিল ভারতও। ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করার সময় জয়শঙ্করের স্পষ্ট বক্তব্য, আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণেই।
উপস্থিত ছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও
এই শান্তি বার্তায় এদিন উপস্থিত ছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস বিলম্বের পর অবশেষে কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয়েছে আফগানিস্তান সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালিবানের মধ্যকার এই শান্তি আলোচনা। আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের প্রতিনিধি দল এবং তালিবান শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই আলোচনা চলছে।
দোহায় অনুষ্ঠিত হয় মার্কিন-তালিবান শান্তি আলোচনা
এর আগে দীর্ঘ আফগান যুদ্ধ অবসান ঘটিয়ে দোহায় অনুষ্ঠিত হয় শান্তি আলোচনা। সেই আলোচনা হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। সেই সময় ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছায় তালিবান ও যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমঝোতায় বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেয় তালিবান গোষ্ঠী।
এর মাঝে আফগানিস্তানে হামলা চালায় তালিবানরা
এছাড়াও মার্কিন-তালিবান সমঝোতায় আফগান সরকারের সঙ্গেও তাদের আলোচনায় বসতে বলা হয়। কিন্তু সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগে বন্দি বিনিময়ের শর্ত রাখে তালিবান। বন্দি বিনিময় নিয়ে নানা টানাপোড়েনে ওই আলোচনা শুরু বারবার ব্যহত হয়। এর মাঝে একাধিকবার আফগান সরকারের উপর হামলাও চালিয়েছে তালিবানরা।
আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা
আমেরিকার পুতুল আখ্যা দিয়ে আসা আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানদের আলোচনা এটাই প্রথম। সেই আলোচনায় ভারতকেও এক অংশীদার হিসাবে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই এদিনের আলোচনায় অংশ নেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, 'ভারত-আফগানিস্তানের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। সেদেশের ৪০০টিরও উপর উন্নয়নমূলক প্রোজেক্টে ভারত অংশ নিয়েছে।'
এদিন কী বলেন জয়শঙ্কর?
এদিন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর জয়শঙ্কর টুইট করে লেখেন, 'আজ দোহায় আফগান শান্তি আলোচনা সম্মেলনে সম্বোধন করি। এই শান্তি প্রক্রিয়াটি অবশ্যই আফগান-নেতৃত্বাধীন, আফগান-মালিকানাধীন এবং আফগান-নিয়ন্ত্রিত হবে। আশা করি এই শান্তি প্রক্রিয়া আফগানিস্তানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রচার করবে, সংখ্যালঘু, নারী এবং দুর্বলদের স্বার্থ নিশ্চিত করবে, কার্যকরভাবে দেশজুড়ে সহিংসতার সমাধান করবে।'
চাপে পড়ে নতি স্বীকার চিনের! অরুণাচলের নিখোঁজ ৫ যুবককে ফিরিয়ে দিল পিএলএ