৩০ হাজার ফুট উঁচু থেকে চিনের উপর নজর রাখছে ভারত! আতঙ্কে লালফৌজ
ভারত-চিনের সংঘাত নতুন নয়। গত বছর মে মাসে সেই সংঘাত চরমে পৌঁছয়। তারপর থেকে চিন সীমান্তে চলছে ভারতের কড়া প্রহরা। কয়েকদিন আগেও ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে দেখা গিয়েছে চিন সেনার আনাগোনা। এরই অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়ে তৎপর হয়েছ
ভারত-চিনের সংঘাত নতুন নয়। গত বছর মে মাসে সেই সংঘাত চরমে পৌঁছয়। তারপর থেকে চিন সীমান্তে চলছে ভারতের কড়া প্রহরা। কয়েকদিন আগেও ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে দেখা গিয়েছে চিন সেনার আনাগোনা। এরই অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়ে তৎপর হয়েছে ভারত।
স্পর্শকাতর ওই অঞ্চলে ভারতের নজরদারিতে সাহায্য করছে অত্যাধুনিক হেরন ড্রোন। চিনের সীমান্তে যে কোনও কার্যকলাপেই এবার নজর রাখতে পারবে ভারতীয় সেনা।
অত্যাধুনিক ড্রোনগুলির মধ্যে একটি এটি।
সেনা ঘাঁটি থেকে চালানো হচ্ছে সেই নজরদারি। সেনা ঘাঁটি এএলএইচ ধ্রুব সহ আরও একাধিক সমরসজ্জা। যে কোনও সময় চিনের মুখোমুখি হতে হলে যাতে সেনাবাহিলী প্রস্তুত থাকে, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। তবে হেরন ড্রোনের সাহায্যে বিশেষ সুবিধা হয়েছে ভারতের। দেশের অত্যাধুনিক ড্রোনগুলির মধ্যে একটি এটি।
কতটা শক্তিশালী এই ড্রোন
ইজরায়েলের তৈরি হেরন ড্রোন সম্পর্কে মেজর কার্তিক গর্গ এএনআই-কে জানিয়েছেন, নজরদারির ক্ষেত্রে এর থেকে ভালো ড্রোন আর হয় না। এটি ভারতের হাতে আসার পর থেকে এই ড্রোনের ওপর ভরসা বেড়েছে অনেকটাই। তিনি জানান, এই ড্রোন ৩০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। সেই উচ্চতা থেকে চারপাশে যা দেখা যায়, সেই ছবি চলে আসে সেনাবাহিনীর হাতে। একটানা ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত ছবি তুলচে পারে এটি।
নজরদারি চালানোর জন্য রয়েছে বিশেষ ক্যামেরা
মেজর আরও জানান, খারাব আবহাওয়াতেও নজরদারি চালানোর জন্য রয়েছে বিশেষ ক্যামেরা। লেফট্যানেন্ট জেনারেল অমিত দাধোয়াল জানান, এই ড্রোনের ওপর নির্ভর করে যে কোনও অপারেশনে সাফল্য পেতে পারবে সেনাবাহিনী। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের তৈরি এয়ারক্রাফ্টের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানান, এই সাহায্যে দুর্গম রাস্তাতেও সহজেই যাতায়াত করতে পারে এটি। পাশাপাশি চিতা হেলিকপ্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ৫০ বছর ধরে এটি সেনাবাহিনীর অত্যন্ত ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।
লাদাখে শক্তি বাড়াচ্ছে চিন
লাদাখ সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সূত্রের খবর লাদাখে চিন শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। প্যাংগং সো হ্রদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে নাগরি গুনসা এয়ারবেসে শক্তি বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে বেজিং। হঠাৎ করে লাদাখ সীমান্তে চিনা ফৌেজর এই তৎপরতায় জল্পনা বাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে সেখানে ইউএভি মোতায়েন করা হয়েছে। একের পর এক অত্যাধুনিক ফাইটার জেট মজুত করছে চিনা ফৌজ।
সেনা বাড়াচ্ছে দুই দেশ
গত ১০ অক্টোবর লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের সেনা। কিন্তু সেনা পর্যায়ের বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছিল তাতে রাজি হয়নি বেজিং। যার জন্য এক প্রকার ব্যর্থই হয়েছিল চিনের সঙ্গে ভারতের বৈঠক। বারবার আলোচনাতেই মিলছে না সমাধান সূত্র। নতুন করে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন চিন সেনা বাড়াতে শুরু করেছে অন্যদিকে ভারতের তরফেও পাল্টা প্রস্তুতি চলছে।