নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল সারা দেশ, ভারতীয় গণতন্ত্রেই আস্থা রাখছেন মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে এবার মুখ খুললেন মালদ্বীপের পার্লামেন্টের স্পিকার ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদ। শুক্রবার তিনি বলেন এটি সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সর্বদা নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর পুরোপুরি বিশ্বাস করেন কারণ তার মতে ভারত নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
তাঁর নিজের উদাহরণ দিয়েই নাসিদ বলেন, "মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিন যখন তাকে গ্রেপ্তার করতে চলেছেন তখন ভারতীয় হাই কমিশন তাকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল।" তিনি আরও বলেন, "ধর্মীয় নিপীড়ন অত্যন্ত ঘৃণ্য বিষয়, এবং ভারত সমস্ত নিপীড়িতদের সর্বদা আশ্রয় দিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে। সংখ্যালঘুদের সম্মান করে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি ভারতের প্রতি এক স্বচ্ছ ধারনা তৈরি করে।"
তবে মোহাম্মদ নাশিদ নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই দায় সেরেছেন। তিনি বলেন, "ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যা চায় সেটা গণতান্ত্রিক ভাবেই ঠিক করা হয়।" প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি লোকসভায় পাস হওয়ার দুদিন পরেই তা রাজ্যসভায় পাস হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বৃহস্পতিবার এই বিলে স্বাক্ষর করে এটিকে আইনে রূপান্তর করেন।
আইন অনুসারে, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা যারা তাদের ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে ভারতে এসেছেন তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসাবে বিবেচনা করা হবে না এবং তাদের প্রত্যেককে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনটিতে আরও বলা হয়েছে যে, অমুসলিম শরণার্থীরা পাঁচ বছরের বেশি সময় ভারতে থাকলেই তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।