For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

মহাশূন্যে বর্জ্য তৈরির প্রধান উৎস হয়ে উঠছে ভারত?

বিবিসির যে শাখা বিভিন্ন গল্পের পেছনের সত্যতা যাচাই করে দেখে, সেই রিয়েলিটি চেক জানার চেষ্টা করেছে যে, ভারতের মহাকাশ কর্মসূচী থেকে আসলে কতটা আবর্জনা তৈরি হয় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তা কতখান

  • By Bbc Bengali

ভারতের মহাকাশ কর্মসূচীর সমালোচনা করে পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, মহাশূন্যের বর্জ্য তৈরির জন্য দেশটি একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।

‌এসব আবর্জনা হলো পুরনো রকেটের অংশ অথবা ইন্টারগাইডেড স্যাটেলাইটের টুকরো টুকরো অংশ- যেহেতু পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে চাঁদে ভারতের একটি মহাকাশযান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মহাকাশে সেগুলোর বর্জ্য নাসা খুঁজে পাওয়ার প্রেক্ষাপটে মি. চৌধুরী এই বক্তব্য দিলেন।

কিন্তু এই দাবি কি তথ্য নির্ভর দাবি? আসলেই কি ভারত এখন মহাকাশে বিপজ্জনক বর্জ্য তৈরি করছে?

আরো পড়ুন:

চাঁদে পাঠানো ভারতের যানে আসলে কী ঘটেছে?

চাঁদে আটকা পড়ে যাওয়া 'ওয়াটার বেয়ার'

ভারতের স্যাটেলাইট ধ্বংস পরীক্ষা নিয়ে নাসার শঙ্কা

'মহাকাশে প্রথম অপরাধ' অভিযোগ তদন্ত করছে নাসা

পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, মহাশূন্যের বর্জ্য তৈরির জন্য দেশটি একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।
BBC
পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, মহাশূন্যের বর্জ্য তৈরির জন্য দেশটি একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।

মহাকাশে কতটা মনুষ্য তৈরি বর্জ্য রয়েছে?

পৃথিবীর কক্ষপথে যেসব আবর্জনা ঘুরছে, তার মধ্যে যেগুলোর আকার দশ সেন্টিমিটারের বেশি, সেগুলো সনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস সার্ভেইল্যান্স নেটওয়ার্ক, বলছে নাসার অরবিটাল ডেবরিজ প্রোগ্রাম অফিস (ওডিপিও)

এসব জিনিস ভূপৃষ্ঠের ১২৫০ মাইলের ভেতরে ঘোরাফেরা করছে, যার সঙ্গে রয়েছে আরো দুই হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

২০০৭ সালে নিজেদের একটি স্যাটেলাইটের ওপর চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, ধারণা করা হয় যে, তখন মহাকাশে প্রায় তিন হাজারের মতো বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে।

ওডিপিও তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যোগাযোগ উপগ্রহের একটি দুর্ঘটনার ফলে বেশ বিশাল সংখ্যক বড় আকারের বর্জ্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:

আওয়ামী লীগের সম্মেলন: নতুন কমিটিতে যারা রয়েছেন

শীতকালে শিশুদের রোগ থেকে দূরে রাখবেন যেভাবে

কেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত? দুই ভারতীয় মুসলিম নারী

পুতিনকে প্রেসিডেন্ট হতে সহায়তা করেছিলেন যিনি

ভারত বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে
Getty Images
ভারত বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে

মহাকাশ বর্জ্যের জন্য ভারত কতটা দায়ী?

ওডিপিও তথ্য অনুযায়ী, অপর তিন দূষণকারী, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের তুলনায় ভারত এখনো অনেক কম মহাকাশ বর্জ্য সৃষ্টি করছে।

তবে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ভারতের এ ধরণের বর্জ্য সংখ্যা বেড়েছে। ১১৭ মহাকাশ বর্জ্য থেকে একবছরে বেড়ে হয়েছে ১৬৩।

এ বছরের মার্চ মাসে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষা বা এএসএটি চালায়।

ভারত দাবি করেছে, তারা এমন উচ্চতায় ওই পরীক্ষাটি চালিয়েছে, যা মহাকাশের কক্ষপথে কোন আবর্জনা তৈরি করবে না।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে এবং নাসা জানিয়েছে, তিনমাস পরে ওই ঘটনার ফলে সৃষ্ট ৫০টি আবর্জনা খুঁজে পেয়েছে।

মহাশূন্যে আবর্জনার তথ্যচিত্র
BBC
মহাশূন্যে আবর্জনার তথ্যচিত্র

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিকিউর ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের মহাকাশ আইন পরামর্শদাতা ক্রিস্টোফার ডি জনসন বলছেন, মহাকাশের আবর্জনা সমস্যায় ভারতও বেশ অবদান রাখছে।

''এক দশক আগে চীনের কর্মকাণ্ড বড় সমস্যা তৈরি করেছিল। আর এখন ভারত, যারা সম্প্রতি মহাকাশে আবর্জনা সৃষ্টি শুরু করেছে, তাদের জানা উচিত যে, তারা এমন কিছু করছে, যা সবাইকে প্রভাবিত করতে করবে, '' বলছেন জনসন।

''অতীতের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত এবং বোঝা উচিত যে, মহাকাশে আবর্জনা তৈরির কোন যুক্তিই থাকতে পারে না, যা মহাকাশ ব্যবহারে সবার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।''

মহাকাশের বর্জ্য সমস্যা সামলাতে কী করা হচ্ছে?

পৃথিবীর কক্ষপথেই ক্রমেই হাজার হাজার স্যাটেলাইটে ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে এবং আরো অনেক স্যাটেলাইট নিক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ফলে একটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে আরেকটি সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।

কিন্তু অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পরীক্ষা নিয়ে কোন নিয়মকানুন নেই, যা মহাকাশের পরিবেশকে বিপজ্জনক করে তুলছে।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষা বা এএসএটি চালায়।
Getty Images
২০১৯ সালের মার্চ মাসে চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল পরীক্ষা বা এএসএটি চালায়।

বেশ কয়েকটি দেশ, এবং কয়েকটি প্রাইভেট কোম্পানি মহাকাশের আবর্জনা নিরসনের চেষ্টা করছে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ২০২৫ সালে তাদের প্রথম মহাকাশ মিশন শুরু করবে যার লক্ষ্য হবে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে আবর্জনা দূর করা।

মহাকাশ থেকে আবর্জনা দূর করার বিষয়টি প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিকভাবে বড় একটি চ্যালেঞ্জ বলে বর্ণনা করেছে নাসা।

বিবিসির রিয়েলিটি চেক লোগো
BBC
বিবিসির রিয়েলিটি চেক লোগো

English summary
India is becoming the main source of waste in space?
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X