শুরু থেকেই জটিল প্রতিবেশীদের নিয়ে চলতে হয়েছে ভারতকে, বললেন বাইডেনের প্রতিনিধি
শুরু থেকেই জটিল প্রতিবেশীদের নিয়ে চলতে হয়েছে ভারতকে, বললেন বাইডেনের প্রতিনিধি
এই মুহূর্তে লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র, এরিক মিচেল গারসেট্টি, তবে অদুর ভবিষ্যতে ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গারসেট্টির। সম্প্রতি তিনি ভারতের পক্ষে ব্যাট ধরেছেন৷ তিনি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন ভারতের প্রতিবেশী সমস্যার কথা৷ তাঁর ভাষায়, শুরু থেকেই নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠিন প্রতিবেশীদের নিয়ে রয়েছে ভারত।
ভারতের পাশে থাকার কথা বললেন এরিক
এরিক বলেন, ভারত যাতে নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে পারে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে, আরও আগ্রাসী হতে পারে তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার চেষ্টা করব আমি। জো বাইডেনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এরিক এবার ঠিক এভাবেই পাশে দাঁড়ালেন ভারতের। স্পষ্ট বার্তা দিলেন পাকিস্তান এবং চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পাশেই রয়েছে আমেরিকা।
ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হতে পারেন এরিক!
ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁকে নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ' অত্যন্ত কঠিন প্রতিবেশী সমস্যায় ভুগছে ভারত। আমি যদি রাষ্ট্রদূত হতে পারি, আমি চাইব ভারতের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং আগ্রাসন রক্ষার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করে ফেলতে৷ তথ্যের আদানপ্রদান, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কো-অর্ডিনেশন, একসঙ্গে সেনাবাহিনীর টহল, এক্সারসাইজ এবং অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্র, যুদ্ধ সরঞ্জাম বিক্রির মাধ্যমে এই কাজ করব আমি। এর আগে একজন নৌসেনা আধিকারিক হিসেবে ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুদ্ধ কসরৎ-এ অংশগ্রহণ করেছি আমি।'
ভারতে গ্রিন অ্যানার্জি নিয়েও কাজ করতে চান এরিক!
সবুজ
শক্তির
প্রসঙ্গও
উঠে
আসে
এরিকের
বক্তব্যে।
তিনি
বলেন,
'রাষ্ট্রদূত
হতে
পারলে
ভারতে
আরও
সক্রিয়ভাবে
গ্রিন
এনার্জির
প্রচার
করব।
ইন্টারন্যাশনাল
সোলার
অ্যালায়েন্স
এবং
২০৩০
এর
মধ্যে
জলবায়ু
পরিবর্তন
সংক্রান্ত
প্রতিশ্রুতি
রয়েছে।
এর
মাধ্যমেই
ভারতে
এই
প্রচার
সম্ভব
হবে।
দুই
দেশের
সম্পর্কের
ভিত্তিই
হল
মানববন্ধন।
এর
মাধ্যমেই
চার
মিলিয়ন
ইন্দো-আমেরিকান
অভিবাসী
এবং
দু'শো
হাজার
ভারতীয়
ছাত্র
এবং
দশ
হাজার
ভারতীয়
কর্মী
আমাদের
অর্থনীতিতে
অবদান
রাখেন।
তবে
এছাড়াও
মানবাধিকারের
প্রতি
সম্মান
এবং
আদর্শ
গণতান্ত্রিক
পদ্ধতি
আমাদের
সম্পর্ককে
আরও
মজবুত
করে
তোলে।
রাষ্ট্রদূত
হতে
পারলে
ভারত
সরকারের
সঙ্গে
এই
বিষয়গুলিতে
আরও
ঘনিষ্ঠভাবে
কাজ
করব
আমি।'
গত কয়েক বছরে উন্নতি হয়েছে ইন্দো-আমেরিকান সম্পর্কে!
গত কয়েক বছরে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে ইন্দো-আমেরিকান সম্পর্কের৷ লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র এরিক বলেন, ১৯৯২ সালে হিন্দি এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। তখন ভারত-আমেরিকার কূটনীতিক বন্ধুত্বও সোনার পাথরবাটি মনে হত৷ বার্ষিক ট্রেডের পরিমাণ ছিল মাত্র দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব তথা সেনাবাহিনীর একসঙ্গে কসরৎ একেবারে ছিল না বললেই চলে।