মোদীর কৌশলে জয় রাষ্ট্রসংঘে! কাশ্মীর নিয়ে 'জবাব' দেওয়ার পথে ভারত
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হল ভারত। সব থেকে বেশি ভোট পেয়ে ভারত মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকালের মেয়াদ হবে ৩ বছরের।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হল ভারত। সব থেকে বেশি ভোট পেয়ে ভারত মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকালের মেয়াদ হবে ৩ বছরের। ১৮৮ টি ভোট পেয়েছ ভারত। সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য দরকার ছিল ৯৭ টি ভোটের। গোপন ব্যালটে ১৯৩ টি দেশ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
এনিয়ে পঞ্চমবারের জন্য ভারত জেনিভা ভিত্তিক মানবাধিকার কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছে। এই সংস্থা বিশ্বের মানবাধিকার পর্যালোচনা করে থাকে।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভারতের এই উপস্থিতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, পূর্বতন মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনার জেইদ রাড অল হুসেন কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মাইকেল ব্যাচলেট এবং সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতারেস জেইদের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে পাকিস্তান এর প্রচার চালিয়ে আসছে। যদিও অন্য কোনও দেশ জেইদের প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি।
এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নে ভারত সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নে পাঁচটি আসন ফাঁকা হয়েছিল। প্রতিবেশী বাংলাদেশও রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। তারা পেয়েছে ১৭৮ টি ভোট। এই অঞ্চলের অন্য তিন প্রার্থী দেশ ছিল বাহারিন, ফিজি, ফিলিপিন্স।
১৩ টি অন্য দেশ, যারা বাকি চারটি এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে, তারাও নির্বাচিত হয়েছে।
২০১৯-এর জানুয়ারিতে, ভারত চিন, নেপাল ছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য দেশ হিসেবে যোগ দেবে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য দেশের সংখ্যা ৪৭।
কাউন্সিলে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে ভারত নিজেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র এবং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের কথা জানিয়েছিল। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ণ বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, অসহিষ্ণুতা নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে যাবে।
মনোনয়নের অঙ্গীকারে ভারত, মানবাধিকার, আবহাওয়া, স্বাস্থ্য, দারিদ্র দূরীকরণে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছিল।
এর আগে ভারত ২০০৭, ২০১১ এবং ২০১৪ সালে এই পদে নির্বাচিত হয়েছে। নিয়ম অনুসারে পর পর দুটি পর্যায়ে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। সেজন্য ২০১৭-তে ভারতের মেয়ার শেষ হয়েছিল। এবার নির্বাচিত হওয়ায় ফের ২০১৯ থেকে কাজ করার সুযোগ ভাবে ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিয়নের জন্য ১৩ টি আসন, আফ্রিকার জন্য ১৩ টি আসন, পূর্ব ইউরোপের ৬ টি, পশ্চিম ইউরোপ এবং অন্যদের ৭টি এবং ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানদের জন্য ৮ টি আসন রয়েছে।