উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন! রাষ্ট্রসঙ্ঘে চিনের বিরুদ্ধে ভোটে না ভারতের
চিনে ভালো নেই উইঘর মুসলিমরা। সে দেশে নানা অত্যাচারের মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি নানা রকমের বিধি নিষেধের মধ্যে পড়তে হয় উইঘর মুসলিমদের। আর তা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে চিনের প্রশাসনকে। কার্যত বিশ্বের তোপের মুখে পড়তে হ
China Uyghur Muslims: চিনে ভালো নেই উইঘর মুসলিমরা। সে দেশে নানা অত্যাচারের মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি নানা রকমের বিধি নিষেধের মধ্যে পড়তে হয় উইঘর মুসলিমদের। আর তা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে চিনের প্রশাসনকে। কার্যত বিশ্বের তোপের মুখে পড়তে হয়।
এবার এই ইস্যুতে আলোচনা হল বিশ্বের সবথেকে বড় মঞ্চ অর্থাৎ রাষ্ট্রসংঘেও। সেখানের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) এই প্রসঙ্গে একটি ভোটাভুটি হয়। বিশেষ অশান্ত জিংজিয়াং ক্ষেত্রে মানবাধিকারি পরিস্থিতি নিয়ে একটা খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয়।
যদিও সেই ভোটাভুটি থেকে দুরেই ছিল ভারত। মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC) বারবার উইঘর মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এমনকি এই বিষয়ে চিনের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্ত্য এরপরেও লাল কমিউনিস্ট এই দেশটিকে ঠেকাতে পারেনি। নানা ভাবে চলেছে উইঘর মুসলিমদের উপর অত্যাচার।
এমনকি উইঘর মুসলিমদের একটা বড় অংশকে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আটকে রাখার মতো মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। যদিও চিনের দাবি তাঁরা এই কার্যকলাপ শিক্ষা থেকে পেয়েছে। এই অবস্থায় ভোটাভুটি করা হয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, UNHRC-তে এই খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে আসে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কানাডা, নরওয়েম সুইডেন, ব্রিটেন এবং আমেরিকাকে নিয়ে গঠিত পরিষদের এক কোর গ্রুপ। তুরস্ক সহ একাধিক সংখ্যাগুরু মুসলিম দেশ প্রস্তাবটির সহ-প্রস্তাবক ছিল।
বলে রাখা প্রয়োজন, ৪৭ সদস্যের পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে ১৭ টি দেশ ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে অন্তত ১৯টি দেশ ভোট দেয়। আর এই তালিকাতে রয়েছে লাল চিনও। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ভোটে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ভারত। এছাড়াও মেস্কিকো, ইউক্রেন সহ অন্তত ১১ টি দেশ এই ভোট পর্বে অংশ নেয়নি।
যদিও শেষমেশ প্রস্তাবটি পরিষদে গৃহীত হয়নি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চাইনার ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসন। ইতিহাস তৈরি হল একটি। বিশ্বের সবথেকে বড় মানবাধিকার মঞ্চ মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC)-এ চিনে উইঘর মানুষদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে দেখল। যদিও প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে পারিনি কাউন্সিল।
কিন্তু আশার আলো একটা তৈরি হল বলে মনে করছেন ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসন। দিনের পর দিন চলে আসা উইঘর মুসলিম মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধে চিন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, চিন যেভাবে অধিকার লঙ্ঘন করছে তা নিয়ে কথা বলতে ধীরে ধীরে একাধিক দেশ এগিয়ে আসছে বলেও দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চাইনার ডিরেক্টর। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।