ভারত ধ্বংস করতে চেয়েছিল কর্তারপুর সাহিব, পাক সরকারের অপপ্রচারের ব্যানার পড়ল গুরুদ্বারে
ভারত ধ্বংস করতে চেয়েছিল কর্তারপুর সাহিব, পাক সরকারের অপপ্রচারের ব্যানার পড়ল গুরুদ্বারে
আর মাত্র একদিন বাকি কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের। আর এরই মধ্যে পাকিস্তান ফের তার নতুন অভিসন্ধী নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছে। শিখ সম্প্রদায়কে ভারতের প্রতি উস্কে দেওয়ার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে পাক সরকার। বৃহস্পতিবার এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার চত্ত্বরে পাক সেনা এক ব্যানার লাগিয়েছে, যেখানে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে, '১৯৭১ সালে ভারতীয় বায়ু সেনা দরবার সাহিব শ্রী কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার ধ্বংস করার জন্য বিস্ফোরক নিক্ষেপ করেছিল।’ ওই ব্যানারে পাকিস্তান আরও জানিয়েছে যে 'গুরু নানক দেব যে পবিত্র কুয়োটি ব্যবহার করত সেখানেই বিস্ফোরকটি পড়ে।’
অতীতেও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ৯ নভেম্বর শনিবার দুই দেশের তরফ থেকেই উদ্বোধন হবে শিখ সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের গন্তব্যস্থল কর্তারপুর করিডর। ৭০ বছর পর শিখদের করিডর খুলে দেওয়ার দাবি মেনে নিয়েছে পাক সরকার। কর্তারপুর চত্ত্বরের ব্যানারে লেখা আছে, '১৯৭১ সালে ভারতীয় বায়ুসেনা দরবার সাহিব শ্রী কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। যদিও শয়তানদের সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায় কারণ ওয়াহেগুরু জি (আল্লা)–র আর্শীবাদে। সেই বিস্ফোরকটি পড়ে যায় শ্রী কুহ সাহিবে (পবিত্র কুয়া) এবং দরবার সাহিব বিস্ফোরকের আঘাত থেকে বেঁচে যায়। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে এই কুয়ো থেকে জল নিয়ে শ্রী গুরু নানক জি তাঁর জমিতে সেচের কাজ করতেন।’ পাকিস্তানের মিথ্যা অপপ্রচার দেখেই বোঝা যায় যে দেশটি কিভাবে পদে পদে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে।
এই ঘটনার আগে পাকিস্তান সরকার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনে। যেখানে খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা জর্নেল সিং ভিনড্রানওয়ালের পোস্টার দেখা যায়। তাঁর পেছনে ছিলেন মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহবেগ সিং এবং অমরিক সিং খালসা। ১৯৮৪ সালের জুন মাসে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে অপরেশন ব্লু স্টার মিশনে তাদের খুন করা হয়। স্বর্ণ মন্দিরের অভ্যন্তর জঙ্গি মুক্ত করার জন্য ভারতীয় সেনা এই অপরেশন ব্লু স্টার পরিচালনা করেছিল। বৃহস্পতিবারও একই অপপ্রচার চালায় পাক সরকার।
অযোধ্যা
মামলার
রায়দানের
পর
কী
ভাবে
হবে
উৎসব?
নির্দেশিকা
জারি
আরএসএস
ও
বিশ্ব
হিন্দু
পরিষদের