ভারতের প্রতিরোধ দেখে আর ঝামেলা চাইছে না চিন! এস জয়শঙ্করকে কোন বার্তা চিনা বিদেশমন্ত্রীর?
ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সোমবার লাদাখে ভারত ও চিন সীমান্তে দুই পক্ষের সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন, চিনের দিকে হতাহত হয় অন্তত ৪৩ জন। এই ঘটনার পরেই এশিয়ার দুই উদীয়মান শক্তি নিয়ে বিশ্বে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি যাতে শান্ত হয়, তা নিজেও চাইছে চিন।
সংঘর্ষের প্রায় দুই দিন পর বিদেশমন্ত্রীরা কথা বললেন
লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের প্রায় দুই দিন পর এবার শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিল ভারত ও চিন। জানা গিয়েছে এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে এই বিষয়ে কথা বলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। জানা গিয়েছে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা মেটানোর বিষয়ে দুই পক্ষই সহমত হয়েছে।
চিনের শান্তিবার্তা
এদিকে এত কিছুর মাঝেও চিন তাঁদের অভিযোগ থেকে সরছে না। তাদের দাবি ভারতের উস্কানিতেই গালওয়ান উপত্যকায় এই সংঘর্ষ বেধেছিল। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিনের তরফে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এবং বিষয়টির তদন্তেরও আবেদন জানানো হয়। তবে পরবর্তীতে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বিবৃতিতে ফের উঠে আসে শআন্তিবার্তার কথা।
জয়শঙ্করের কড়া জবাব
তবে চিনের অভিযোগগুলিকে উড়িয়ে দিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রীকে পাল্টা তোপ দেগে জয়শঙ্কর বলেন, লাদাখে যা ঘটেছে তা চিনা সেনার তরফে আগের থেকে পরিকল্পিত ছিল। এবং ভারত শান্তিপূর্ণ দেশ হলেও উস্কিনা দেওয়া হলে পিছিয়ে থাকবে না। জয়শঙ্কর আরও জানান এই উত্তেজনার জেরে দুই দেশের সমপর্ক খারাপ হচ্ছে তা দিল্লি চায় না।
মোদীর কড়া হুঁশিয়ারি
এই ফোনালাপের কিছুক্ষণ আগেই চিনকে উদ্দেশ্য করে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মারতে মারতে শহিদ হয়েছেন ভারতীয় জওানরা। পুরো দেশ তাঁদের জন্য গর্বিত। আমাদের জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবে না।' এরপর চিনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ তবে, যদি কেউ উস্কানি দেয় তাহলে আমরা জবাব দিতে জানি।'
ভারত-চিন সংঘাতের আবহে উদ্বিগ্ন বিশ্ব! দিল্লি-বেজিংকে বার্তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের