লাদাখে ইস্যুতে চিন শান্তির বার্তা দিয়েও গোপন ফাঁদ পাততে পারে! বেজিং-স্ট্র্যাটেজি নিয়ে জল্পনা
লাদাখে ইস্যুতে চিন শান্তির বার্তা দিয়েও গোপন ফাঁদ পাততে পারে! বেজিং-স্ট্র্যাটেজি নিয়ে জল্পনা
চিন সীমান্তের বারাহোতি চেকপোস্ট। এই চেকপোস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে মোতায়েন হয়ে থাকা ভারতীয় সেনা অফিসাররা স্যাটেলাইট ফোনে একাধিকবার চিনের সেনার বাক্যালাপ শুনেছে। চিন খুব ভালো করেই জানে , যে তাদের সেনার কথাবার্তা ট্রেস করছে ভারতীয় সেনা। আর এই বারাহোতির মতো একাধিক চেকপোস্টের কাছে থেকে নিজেদের অবস্থানের জানান দিয়েছে চিন। উদ্দেশ্য একটাই, তারা যে ভারত সীমান্তের খুব কাছাকাছি রয়েছে, তা ভারতের সেনাকে জানান দেওয়া।
গভীর ফাঁদ পাতছে চিন!
সীমান্তের
এপারেই
চিনের
সেনা
রয়েছে।
এই
ভাবনা
দিয়ে
ভারতীর
সেনার
ওপর
খানিকটা
মানসিক
চাপ
তৈরির
চেষ্টায়
বেজিং।
এতে
মানসিক
চাপ
বাড়িয়ে
যুদ্ধনীতির
একটা
দিক
জিতে
নেওয়ার
চেষ্টা
করে
চলেছে
তারা।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন,
যতক্ষণ
না
চিনের
সেনার
অবস্থান
বদলের
প্রমাণ
পাওয়া
যাচ্ছে
ততক্ষণ
চিনকে
বিশ্বাস
করা
উচিত
নয়।
২০১৩ এর মতোই কি...
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবারেও মানসিক চাপের যুদ্ধনীতি নিয়েই চিন এগোবে। ঠিক যেভাবে ২০১৩ সালের চিন করেছে। সেই সময়ও দুই সেনার মধ্যে সংঘাত সমাঝোতার বার্তায় শেষ হলেও, তারপরও চিনের সেনা সংঘাত পরিস্থিতি জিইয়ে রেখেছে। এদিন চিন সীমান্ত থেকে সেনা সরাবার বার্তা দিলেও, তাকে সহজে নিচ্ছে না দিল্লি।
মোদী জমানায় একের পর এক হামলা
২০১৩ সালে চিনের মসনদে আসেন জি জিনপিং। এরপর থেকেই আগ্রাসী বিদেশ নীতির কারণে চিন ভারতকে নিশানা করতে থাকে। ২০১৪, ২০১৫ সালে লাদাখ সীমান্তে ছোটখাটো সংঘর্ষ দেখা দেয়। ২০১৬ সালে লালফৌজ ও চিনের ২ টি হেলিকপ্টার বারাহোতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। ২০১৭ সালেও হালকা আস্ফালন তিন দেখিয়েছে। তেমন ভাবেই এবারেও একই পন্থায় চিন লাদাখে ভারতের নির্মাণ কাজে বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
ছায়াযুদ্ধে চিন
মনে করা হচ্ছে, চিন লাদাখ ইস্যুতে কেবলই ছায়াযুদ্ধ খেলছে। নিশানা তাদের সুপার পাওয়ার আমেরিকা। ভারতকে সামনে রেখে নিজের সেনা শক্তি জানান দিতেই চিন লাদাখ নিয়ে এতটা মাথা ঘামাচ্ছে। ফলে এদিন ডোভালের মধ্যস্থতায় লাদাখের গালওয়ান সহ একাধিক জায়গা থেকে চিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও, ভারতের জন্য যে বেজিং কোনও গোপন ফাঁদ তৈরি করছে , তা নিয়ে সন্দিগ্ধ দিল্লি।
লাদাখে শান্তি ফেরাতে বেজিংয়ের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক! ডোভালের চালেই কি তবে গালওয়ানে সেনা প্রত্যাহার?