একদিকে কূটনৈতিক বোঝাপড়ার বার্তা, অন্যদিকে সীমান্ত ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান! কোন খেলায় মজেছে চিন?
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারকে কেন্দ্র করে একাধিক জটিল এবং বিতর্কিত বিষয়ের জেরে ভারত এবং চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে। রয়েছে চাপা দ্বন্দ্বও। চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় তৈরি হওয়া সমস্যা সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
দুই পক্ষের সেনা সমাগম
স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা অনেকটাই বেশি এবং বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, পূর্ব লাদাখসহ গালওয়ান নালা এলাকায় এবং প্যাঙগং লেকের উত্তর দিকে অন্তত পাঁচটি এলাকায় প্রায় ১৫০০ চিনা সেনা চোখে চোখ রেখে মুখোমুখি প্রত্যাঘ্যাত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিনয় দেখিয়েছে ভারত এবং চিন উভয়ই
যদিও এটা তাৎপর্যপূর্ণ যে, বিষয়টি নিয়ে বিনয় দেখিয়েছে ভারত এবং চিন উভয়ই। কোনও দেশই এনিয়ে সরকারিভাবে এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি, যাকে উত্তেজক বলা যায়। ভারতে স্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতও পুরো বষয়টি শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি চাইছেন।
চিনের পদক্ষেপ
এই রাজনৈতিক এবং সামরিক বিবাদের জেরে বেজিংও ঘোষণা করেছে যে, তারা আগামী সপ্তাহ অর্থাৎ জুনের গোড়ায় ভারত থেকে সেইসব চিনা নাগরিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাবেন, যাঁরা কোভিড ১৯ এবং লকডাউনের জেরে এতদিন আটকে রয়েছেন। এই ঘোষণাকে চিনের একতরফা নীতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
১৯৬২ সালে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ভারত-চিন
অঞ্চলভিত্তিক অধিকারের জটিলতার জেরে উভয় দেশই ১৯৬২ সালের অক্টোবর মাসে অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তাতে তাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এবং এর অন্তত সাত দশক পরও সম্পর্কে সেই অস্বস্তি চলছে। এদিকে এরই মধ্যে লাদাখের প্যাঙগং লেক থেকে ২০০ কিমি দূরে গারি গুনশা ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে চিন। একটি উপগ্রহ চিত্রে এই দৃশ্য দেখা যায়।
যুদ্ধ হলে কতটা তৈরি দেশ! চিনকে কড়া জবাব দিতে প্ল্যান তৈরি রাজনাথ ও সেনাপ্রধানদের