৫৫ বছর পর কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক রাষ্ট্রসংঘে, চিনের দাবি সত্ত্বেও নিস্ফলা
১৯৬৫ সালের পর ফের রাষ্ট্রসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল কাশ্মীর নিয়ে। ৫৫ বছর আগে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে রুদ্ধ্বদ্বার বৈঠক হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে।
১৯৬৫ সালের পর ফের রাষ্ট্রসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দাবি উঠল কাশ্মীর নিয়ে। ৫৫ বছর আগে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে রুদ্ধ্বদ্বার বৈঠক হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে। আবারও চিন ও পাকিস্তানের দাবি তুলল রুদ্ধদ্বার বৈঠকের। রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তান নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেল শুধু।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতারেস জানান, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে রাষ্ট্রসংঘ। উভয় পক্ষেরই বক্তব্য শোনা হয়েছে। এবার রাষ্ট্রসংঘ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিল চিন ও পাকিস্তান।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক থেকে গোটা বিশ্বকে ভারত কড়া বার্তা দেয়। পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বললেন, কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, পাকিস্তান অযথা এর মধ্যে নাক গলাচ্ছে। ভারত কাশ্মীরের আইনব্যবস্থাকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে সরকার চালানোর সুবিধার্থে।
তিনি আরও বলেন, কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দেশের স্বার্থে, কাশ্মীরের মানুষের স্বার্থেই নেওয়া। এক ফলে সরকার চালানো যেমন সহজ হবে, তেমনই আর্থিক উন্নতিও হবে। যদিও শুধু পাকিস্তানই নয়, রাষ্ট্রসংঘে কড়া ভাষায় ভারতের সমালোচনা করেছে চিনও।
চিন জানিয়েছে, ভারতে যা হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর। চিন ও পাকিস্তান উভয় দেশই দাবি করে, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা অনৈতিক হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আলোচনা হোক। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার অনৈতিকভাবে হয়েছে কি না। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই বৈঠক শুরু হয়। ভারতের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেন আকবরুদ্দিন।
পাকিস্তানের পক্ষে বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানান, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে ভারতের অবস্থান পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে। সেই কারণেই দ্রুত আলোচনা চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হন তাঁরা। পাকিস্তানও চিনের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভারত অনৈতিকভাবে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে।