বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন, পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ার, ভবিষ্যতের শিশুরা জন্মাচ্ছে ঝুঁকির মধ্যে
বিশ্ব উষ্ণায়ন ও আবহাওয়া পরিবর্তন দিন দিন আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। যদিও এরজন্য দায়ি মানুষই। পৃথিবীতে একটি শিশু জন্ম নিলে তাকে আমরা নিজেরাই ঠেলে দিচ্ছি বন্যা, দীর্ঘায়িত খরা ও দাবানলের ঝুঁকির মধ্যে। এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১৯৬টি দেশের মধ্যে ১৫২টি দেশ ২০০১–০৪ সাল পর্যন্ত দাবানলের আগুনে মারা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১ মিলিয়নের বেশি মৃত্যু ঘটেছে ভারতে এবং চীন ১৭ মিলিয়ন প্রত্যক্ষ মৃত্যু, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা এবং ঘরবাড়ি ক্ষতি হতে দেখেছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক বোঝা চাপানো রয়েছে সব মানুষের ওপরই। তবে ভূমিকম্পের তুলনায় দাবানলের প্রভাব বেশি পড়ে মানুষের মধ্যে। এছাড়াও বন্যার চেয়ের ৪৮ বার বেশি দাবানলে ক্ষতি হয় মানুষের। যদিও বিশ্বব্যাপী ঘটনাগুলির দিকে নজর দিলে দেখা যাবে যে দাবানলের চেয়েও মানুষের ক্ষতি হয় বন্যায়। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া এবং তুষার গলে গিয়ে উষ্ণ হয়ে যাওয়া, শুকনে পরিস্থিতি সহ আবহাওয়া পরিবর্তন দাবানলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ২০১৮ সালটি ছিল চতুর্থ উষ্ণতম বছর। এই বছরে বিশ্বের প্রায় ২২০ মিলিয়ন মানুষ তাপপ্রবাহে মারা গিয়েছেন। ২০১৭ সালে তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ মিলিয়ন এবং ২০১৫ সালে তাপপ্রবাহে বিশ্বের ১১ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৮ সালে ভারতেও গরম সাংঘাতিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এখানেও প্রত্যেক বছর ৪৫ মিলিয়ন মানুষের তাপপ্রবাহে মৃত্যু হয়। বয়স্ক শহরবাসীর জন্য শহরে বাস করা একরকম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তাপপ্রবাহের জন্যই স্ট্রোক ও কিডনি রোগ হতে পারে। তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদেরও কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০০ সালে শ্রমিকরা যত ঘণ্টা কাজ করতেন ২০১৮ সালে তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে ৪৫ বিলিয়ন অতিরিক্ত সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা বিশ্বে। ভারতে ২২ বিলিয়ন অতিরিক্ত সময় কমিয়ে দেওয়া হয়।