চিনের এই শহরে ৪৮ ঘন্টায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল কোভিড সংক্রমণ
চিনের এই শহরে ৪৮ ঘন্টায় ৬৬ শতাংশ বাড়ল কোভিড সংক্রমণ
টানা দু'বছরের কোভিড মহামারি, তাতেই ভেঙে গিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির শিরদাঁড়া। এই মুহূর্তে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সংক্রমণ কমছে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। তবে এর মাঝেই ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে চিন। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের সাংহাই শহর এখন কোভিডের নয়া হটস্পট। সেদেশের পূর্ব উপকূল জিলিনে এতদিন ধরে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন। গত কিছুদিনেই আক্রান্তের হিসেবে জিলিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে সাংহাই৷
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার মোট ২৬৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন সেই প্রদেশে। তার আগের দিনের তুলনায় যা কিনা ১৮ শতাংশ বেশি৷ শহরের মোট জনসংখ্যা ২৬ মিলিয়ন। গত তিনদিন ধরেই হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ১৬০৯, শুক্রবার ২২৬৭ জনের পরও শনিবার বেড়েছে আক্রান্ত সংখ্যা৷
এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আদৌ শহরজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হবে কিনা৷ তবে আপাতত সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন৷ চিনের রাজধানী বেজিং হলেও সাংহাই সেদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। গোটা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য চলে সেই শহরেই। সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হলে বাকি বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসায় প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
এই মুহূর্তে লকডাউন ঘোষণা না করা হলেও বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে। নাগরিকদের জন্য নেগেটিভ কোভিড রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই চিনেই প্রথম দেখা মিলেছিল কোভিড ১৯ এর। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে গোটাবিশ্বে৷ তবে বাকি বিশ্ব ভুগলেও নিজেদের ভাইরাস মুক্ত রেখেছিল চিন। কড়া বিধিনিষেধ এবং র্যাপিড টেস্ট সহ একাধিক নীতিতে কোভিড সামলেছিল শি জিনপিং প্রশাসন৷
এবার সাংহাই এবং জিলিন প্রদেশে কোভিড সংক্রমণ আটকাতে বৈঠক ডেকেছিলেন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ জাং ওয়েনহং। তিনি স্বাভাবিক জীবন বজায় রেখেই ভাইরাস প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের ওমিক্রন বি.এ ২ সাব টাইপ এই সংক্রমণের জন্য দায়ী।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই চিনের উত্তর-পূর্বের জিলিনে লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। করোনা বিশেষজ্ঞদের মতে পাশেই লিয়াওনিং প্রদেশের শেনইয়াং শহরটিতে দেরীতে লকডাউনের ঘোষণা করার কারণেই হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল জিলিনে৷ সে সময় জানা গিয়েছিল সংক্রমণ ঠেকাতে চিনের প্রশাসন হাইপার-লোকাল লকডাউন, গণপরীক্ষা এবং ভাইরাসের জিনোম পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছিল! মার্চেই চিনে করোনায় দু'জন মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছিল চিন৷ যা চিনে ২০২১-২২ জুড়ে এই প্রথম করোনা মৃত্যু বলে দাবি করেছে অনেকে৷