দক্ষিণ চিন সাগরে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপও দখলের চেষ্টায় চিন! বেজিং দমনে ময়দানে আমেরিকার 'অস্ত্র'
দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় প্রতিটি দেশই নিজেকে মজবুত করতে চাইছে চিনের বিরুদ্ধে। ক্রমাগত চিনের আস্ফালন দক্ষিণ সাগরে বাড়তেই এবার পেশি শক্তি জোরালো করতে চাইছে সমস্ত দেশই। এদিকে, লাদাখ পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার মত দেশ চিনের জন্য কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে কোন কারণ?

কেন ইন্দোনেশিয়াকে সমঝে চলছে চিন!
ইন্দোনেশিয়া সাম্প্রতিককালে আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। তার ফলে কয়েকট কোটি টাকা দামের একটি টিলোট্রোটার এয়ারক্রাফ্ট তারা আনতে চলেছে। বেল বোয়েইং কম্পানির এই যুদ্ধবিমান দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ঘুম ওড়াতে পারে। ভারতের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে বাকি দেশও দক্ষিণ চিন সাগরে পোক্ত করছে নোঙর।

ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপে নজর চিনের
নিজের জমি এই মুহূর্তে পোক্ত করতে বদ্ধপরিকর ইন্দোনেশিয়া। সেদেশের নটুনা বলে একটি দ্বীপে এবার চিনের নজর পড়েছে। আর নজর পড়তেই আমেরিকার সঙ্গে আঁতাত গড়ছে ইন্দোনেশিয়া। নাটুনা একটি ছোট দ্বীপ। সেখানে বেশি লোকের বাস নেই। বাসিন্দারা আর্থিক দিক থেকেও পিছিয়ে পড়েছে।

কিন্তু কেন নটুনাতে নজর চিনের?
নটুনা মূলত প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার। প্রাকৃতিক গ্যাসের বহু সম্ভবনাময় জায়গা এখানে রয়েছে। আর সেই কারণেই নটুনা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালু করে দিয়েছে চিন।

বিস্তারবাদে চিন যা করছে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়ে দেন যে , বিস্তারবাদের দিন শেষ। এবার উন্নয়নের সময়। লাদাখ সীমান্তে চিমের সেনা চোখ তুলে তাকাতেই তার যোগ্য জবাব দিয়েছে দিল্লি। এরপর চিন ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকে টার্গেট করে। কারণ ,সেই অভরাণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক মহল বহু টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি, এলাকা ভারতের অরপণাচল প্রদেশ ঘেঁসা। ফলে দুই দিক থেকেই সুবিধা পাবে চিন। এদিকে, একতই ফর্মুলায় ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও টক্কর দিতে শুরু করেছে বেজিং। যেখানে বেজিং জানে যে, ইন্দোনেশিয়ার সেনা লালফৌজের তুলনায় কতটা দুর্বল। আর ইন্দোনেশিয়া এই যুদ্ধে এবার পাশে পেয়েছে আমেরিকাকে।

শ্রাবণ ও ভদ্র মাসেও জল ঢালা বন্ধ থাকছে বক্রেশ্বরে