আট বছরের মধ্যেই চিনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের
ভারতের বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভয়ঙ্কর দিনে ঘনিয়ে আসছে ভারতের জন্য। আর মাত্র ৮ বছরের অপেক্ষা। তারপরেই জনবিস্ফোরণের কারণে ভারতে চিনকেও পিছনে ফেলে দেবে।
ভারতের বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভয়ঙ্কর দিনে ঘনিয়ে আসছে ভারতের জন্য। আর মাত্র ৮ বছরের অপেক্ষা। তারপরেই জনবিস্ফোরণের কারণে ভারতে চিনকেও পিছনে ফেলে দেবে। বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার শিরোপা জুটবে ভারতের মুকুটে। এই খেতাব খুব একটা গর্বের নয়। তবে এমনটাই হতে চলেছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে।
জনসংখ্যার হার নিয়ে চর্চা
কয়েকদিন আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রুখতে কড়া দাওয়াইয়ের কথা শুনিয়েছিলেন রামদেব। তিনি বলেছিলেন যাঁদের তিন সন্তান রয়েছে তাঁদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত। সেই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। খবরের শিরোনামে এই নিয়ে বেশ কিছুদিন তোলপাড় হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই এই রিপোর্ট পাওয়ার পর অনেকেরই মনে হতে পারে রামদেবের এই বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক ছিল না।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, চিন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় তা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই চিনের জনসংখ্যা ৩১.৪ শতাংশ কমেছে। আগামী ২০১৯-২০৫০ এর মধ্যে জনসংখ্যা ২.২ শতাংশ কমে যাবে। এতোটাই তৎপর চিন।
জনসংখ্যার ভবিষ্যদ্বাণী
দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট ২০১৯-এ জানানো হয়েছে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ২০০ কোটি বাড়বে বিশ্বে। ৭.৭ বিলিয়ন থেকে ৯.৭ বিলিয়নে পৌঁছে যাবে। আর এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির মূলে রয়েছে ভারত সহ ৮টি দেশ। তার মধ্যে শীর্ষে ভারত। তারপরেই রয়েছে নাইজেরিয়া, পাকিস্তান। এরপরে আসছে কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং সব শেষে রয়েছে আমেরিকা।
নাম রয়েছে আমেরিকারও
রিপোর্টে এই শেষ নামটিও বেশ নজরকাড়া। কারণ যে আটটি দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে বলে জানানো হয়েছে তার মধ্যে আমেরিকা প্রথম বিশ্বের দেশ হিসেবেই পরিচিত। উন্নত দেশ গুলির মধ্যে প্রথমেই আমেরিকার নামই আসে। অথচ সেই দেশেই জনসংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে এই আটটি দেশ ছাড়াও আফ্রিকার সাহারা এলাকার জনসংখ্যা আগামী কয়েক বছরে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।