করোনা উপসর্গ নিয়ে চিন্তায়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া করোনা কিটে মূহূর্তেই পেয়ে যান টেস্টের ফল
করোনা উপসর্গ নিয়ে চিন্তায়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া করোনা কিটে মূহূর্তেই পেয়ে যান টেস্টের ফল
করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার নয়া সুখবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার জেরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসকমহলে। বিশ্বের ধনী দেশগুলিতে ব্যবহৃত পিসিআর কিটের বিকল্প হিসেবে এবার হু এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংস্থার যৌথ পরিকল্পনায় বাজারে আসতে চলেছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরীব এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল দেশগুলিতে অধিক পরিমাণে করোনা পরীক্ষার বিশেষ সহায়ক হবে এই কিট।
প্রায় ১২ কোটি কিটের প্রস্তাব হু-এর তরফে
সূত্রের খবর, ২৮শে সেপ্টেম্বর হু এবং অন্যান্য সংস্থার তরফে বাজারে প্রায় ১২ কোটি কিট আনার কথা ঘোষণা হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি কিটের মূল্য হবে মাত্র ৫ মার্কিন ডলার, ফলে এর জন্য প্রয়োজন আন্দাজ ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের। গবেষকরা জানাচ্ছেন, পিসিআর টেস্টের মত অধিক সময় লাগবে না র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায়, কিন্তু র্যাপিড টেস্ট যে খুব একটা নির্ভুল নয় সে আশঙ্কার বাণীও শুনিয়েছেন গবেষকরা। হু-এর ডাইরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম ঘেব্রেসিস জানিয়েছেন, "কম মূল্যে গরিব দেশগুলিতে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর এই একটিই পন্থা রয়েছে আমাদের কাছে।"
দরকার তহবিল, জানালেন ঘেব্রেসিস
যদিও এই বিশালাকার আর্থিক তহবিল নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় হু-র বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু হলেও বিশ্বের ধনী দেশগুলি এই তহবিলের যোগান না দিলে মাঝ পথেই এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইনভেটিভ নিউ ডায়াগনস্টিক্স-এর কর্ণধার ডঃ ক্যাথরিনা বোহেমি জানিয়েছেন, আফ্রিকার প্রায় ২০টি করোনা বিদ্ধস্ত দেশে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করবে ক্লিনটন হেলথ এক্সেস ইনিশিয়েটিভ, এসডি বায়োসেন্সর এবং অ্যাবট নামক সংস্থাগুলি। গ্লোবাল ফান্ডের কর্নধার পিটার স্যান্ডস অবশ্য এক্ষেত্রে প্রায় ৫কোটি মার্কিন ডলার তহবিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কমদামী কিটেই দ্রুত পরীক্ষা
কমদামী কিটেই দ্রুত পরীক্ষা
সত্যিই কি নয়া কিটের হাতে ধরে হতে পারে মুশকিল আসান ?
হু-এর এক আধিকারিক বলছেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার দ্বারা গরিব দেশগুলিতে কন্টেইনমেন্ট কৌশল অবলম্বনে সুবিধা হবে। অন্যদিকে পিটার স্যান্ডসের কথায় ধরা পড়েছে বিশ্বব্যাপী আর্থিক অসামঞ্জস্যের কথা। তিনি জানান, আমেরিকার মতো দেশে যেখানে প্রতি এক লক্ষ মানুষ পিছু ২৯২ জনের পিসিআর পরীক্ষা হচ্ছিল, সেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছিল মাত্র ১৪-তে। গবেষকদের মতে, মানবজাতির জন্য এই ১২ কোটি কিট অতি মূল্যবান হলেও বাস্তবে যে পরিমাণ কিট দরকার, এই সংখ্যা তার সিকিভাগ মাত্র!
হাথরাস কাণ্ড ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা! যোগী সরকারকে কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
{quiz_369}