ফের নয়া ফন্দি এঁটে ডোকলামে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা সেনা, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা
শীতের সুযোগ নিয়ে প্রায় ১৮০০ চিনা সেনা ডোকলাম এলাকায় জড়ো হয়েছে।
ডোকলামে ফের চিনা সেনার দাপাদাপি বাড়তে শুরু করেছে। শীতের সুযোগ নিয়ে প্রায় ১৮০০ চিনা সেনা ডোকলাম এলাকায় জড়ো হয়েছে। যা নিয়ে ফের সিকিম-ভূটান-তিব্বত সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই এলাকায় দুটি হেলিপ্যাড, রাস্তা, কয়েকশো তাঁবু ফেলেছে চিনা সেনারা।
এত উঁচু জায়গায় বরফাবৃত শীতকালে কেন চিনা সেনা ডোকলামে ঘাঁটি গাড়ল তা নিয়ে ফের আশঙ্কিত হওয়ারই কথা। ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানাচ্ছে, ভারত এই এলাকায় গ্রীষ্মের সময় চিনকে রাস্তা বানাতে দেয়নি। আটকে দিয়েছিল। এবার শীতে চিনের সরকার এই এলাকায় সেনা মোতয়েন করে ফের ভারতের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছে।
এর আগে ডোকলাম এলাকায় প্রতিবছরের এপ্রিল-মে ও অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চিনা সেনারা এসে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতো। ঘাঁটি গাড়তো। আবার ফিরে যেত। তবে আবার ফিরে এসেছে। এর আগে ৭৩দিন এই এলাকায় অচলাবস্থা চলার পরে ভারত-চিন দুই পক্ষের সেনাই সরে যায়। মধ্যস্থতা হয় আলোচনার মাধ্যমে।
তবে তারপরেও বার কয়েক চিনা সেনা ডোকলাম এলাকায় অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা করেছে। আগে চিনা সেনা ডোকলাম এলাকায় এলেও ভারত কখনও তার বিরোধিতা করেনি। তবে সেখানে রাস্তা তৈরির কাজ করে বিতর্কিত এলাকা নিজেদের বলে দাবি করার পর ভারত প্রতিবাদে সেনা নামায়। কারণ এই এলাকায় চিনকে বেশি বাড়তে দেওয়া মানে ভারতের প্রতিরক্ষায় তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত অপক্ষিত হয়ে পড়তে পারে।
এই এলাকা থেকে শিলিগুড়ি করিডোর যা চিকেনস নেক নামে পরিচিত, তা অরক্ষিত হয়ে পড়তে পারে। এই এলাকার দুদিকে রয়েছে নেপাল ও বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে চিনকে বাড়তে দেওয়া মানে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত বিপদে পড়তে পারে। সেজন্যই ভারত প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার চিনকে সমঝে দিতে নয়াদিল্লি ফের কোন পদক্ষেপ করে সেটাই এখন দেখার।