বিদায়ী ভাষণে নাম না করেই বাইডেনকে শুভেচ্ছা অভিমানী ট্রাম্পের! দিলেন ‘সতর্ক’ বার্তাও
বিদায়ী ভাষণে নাম না করেই বাইডেনকে শুভেচ্ছা অভিমানী ট্রাম্পের! দিলেন ‘সতর্ক’ বার্তাও
ইতিহাসের দোরগোড়ায় আমেরিকা। বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টায় আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। যা নিয়ে সাজ সাজ রব গোটা আমেরিকা জুড়েই। তার আগে বিদায়ী ভাষণে ডেমোক্র্যাট দলের ভাবী প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে দেখা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একইসাথে একাধিক বিষয়ে দিলেন সতর্ক বার্তাও।
নাম না করেই বাইডেনকে শুভেচ্ছা বার্তা
মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি ভিডিয়োবার্তায় নিজের সরকারের পিঠ চাপরানোর পাশাপাশি ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, ''আমরা যা করতে এসেছিলাম, সেগুলো তো করেছিই, এছাড়াও অনেক কিছু করেছি। এই সপ্তাহে আমরা নতুন প্রশাসনের সূচনা করব। আমেরিকাকে সুরক্ষিত এবং সমৃদ্ধ রাখতে তার সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করুন।'' অন্যদিকে গোটা ভিডিও জুড়ে আমেরিকার আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক কথা বললেো একবারও বাইডেনর নাম মুখে আনতে দেখা যায়নি ট্রাম্পকে।
শুরু থেকেই নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প
এদিকে নাম না করে বাইডেন শিবিরকে শুভেচ্ছা জানানোকে ট্রাম্পের বিদায়ী 'অভিমান' হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হলেও এখনো সেই ফলাফল মন থেকে মেনে নেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী নির্বাচনী ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেখানেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তিনি।
বাইডেন-কমলার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না ট্রাম্প
শেষ নির্বাচনে ডেমোক্রাটরা ৩০৬টি ইলেক্টোরাল কলেজের দখল নিলেও তা চুরি করে নেওয়া হয়েছে বলে বার বার দাবি করেছেন। এমতাবস্থায় ব্যক্তিগত রাগ থেকেই ট্রাম্প সরাসরি বাইডেনকে একবার শুভেচ্ছা জানানি বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমনকী সেই রাগ থেকেই এদিন বাইডেন-কমলার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
ক্যাপিটাল হামলা প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন ট্রাম্প
অন্যদিকে ট্রাম্পের ভিডিও বার্তায় একাধিক বিষয়ের সঙ্গে ফিরে এসেছে কিছুদিন আগেই ক্যাপিটাল ভবনে হামলার কথাও। যদিও ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডবে উস্কানির দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধেই। সেকথা মাথায় রেখেো ট্রাম্পের জবাব, " নিজেদের উপর তথা এই মহান দেশের প্রতি আস্থা হারানোটাই হবে সবচেয়ে ব়ড় ভয়াবহ বিষয়।"
অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প
অন্যদিকে করোনাকালের বেহাল অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, "কড়া লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছি। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, সে জন্যই আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা আমরা করেছি। এমনকী তার থেকে বেশিও করেছি। " এখানেই না থেমে বিদায়বেলাতেও নিজেই নিজের পিঠ চাপরে ফের ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, "আমি এক দশকের মধ্যে প্রথম প্রেসিডেন্ট, যার আমলে কোনও নতুন যুদ্ধ শুরু হয়নি। " এদিকে একাধিক দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পারাপতন, বিশ্ব জুড়ে চিনা আগ্রাসন, ইরান-ইরাক সমস্যা সহ একাধিক বিষয়ে ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় বিদায়ী বার্তায় ট্রাম্পের এই কথায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই।
ট্রাম্পের উদাসীনতাই কাল! মেয়াদকালের শেষ দিনে আমেরিকায় ৪ লক্ষের গন্ডি ছাড়াল করোনায় মৃতের সংখ্যা