মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রীর রেহমের
মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইমরানের প্রাক্তন স্ত্রীর রেহমের
পাকিস্তান নাকি বদলে গিয়েছে, নয়া সরকারের আমলে সেখানে সন্ত্রাসবাদের কালো ছায়া উধাও। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর সমর্থকরা হামেশাই এমন দাবি করেন৷ তবে তাঁদের দাবির সঙ্গে যে বাস্তবের বিস্তর ফারাক, তা বুঝিয়ে দিলেন রেহম খান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী দাবি করলেন, তাঁর গাড়িতে হামলা করেছিল বন্ধুকবাজরা।
কী বললেন ইমরানের স্ত্রী?
নতুন বছরের শুরুতেই ইমরান খান তথা পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই সাংবাদিক। ট্যুইট করলেন, ' ভাইপোর বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় আমার গাড়িতে গুলি চালানো হয়েছে। একটি মোটরবাইকে দুই আরোহী আমার গাড়িটিকে গানপয়েন্টে রাখে। আমার সেক্রেটারি এবং গাড়িচালক ওই গাড়িতে ছিলেন। এটাই ইমরান খানের নতুন পাকিস্তান? কাপুরুষ, জোচ্চোর, লোভীদের দেশে স্বাগত'৷
বিস্ফোরক রেহম খান!
তবে এখানেই থেমে যাননি রেহম। কিছুক্ষণ বাদে আরও একটি ট্যুইটে তিনি দাবি করেন, গোটা ঘটনায় তখনও এফআইআর দায়ের করা যায়নি। তিনি বলেন, 'এখন সকাল ন'টা। আমার সেক্রেটারি এবং টিম দম ফেলার সময় পায়নি। এখনও ইসলামাবাদের শামস কলোনি পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা যায়নি। তদন্ত চলছে। এফআইআরের কপির জন্য অপেক্ষা করছি৷' একইসঙ্গে অনুগামীদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি রেহম। তিনি বলেন, 'আমি মৃত্যুকে কিংবা আঘাতকে ভয় পাই না। কিন্তু আমার জন্য যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে আমি চিন্তিত।
বেশিদিন টেকেনি ইমরান-রেহমের সম্পর্ক!
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই ইমরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেহমের। পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তথা অধিনায়ক ইমরান খানের প্রেমে পড়েছিলেন রেহম। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে চার-হাত এক হয় তাঁদের। ইসলামাবাদে ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু'জনে। তবে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। মাত্র দশ মাসেই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
বিচ্ছেদের পর থেকেই একের পর এক তথ্য বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন রেহম!
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ডিভোর্স দায়ের করার পর থেকেই ইমরানের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন রেহম৷ তিনি এমন অভিযোগও করেছিলেন যে, ডিভোর্স ফাইল করার পর তিনি ভয়ের চোটে পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাঁকে বোমার আঘাতে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে তিনি আত্মজীবনীতেও পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক কিছু অভিযোগ করেছিলেন৷