গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, আহত আরও বেশ কয়েকজন PTI সমর্থক
ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি। আজ বৃহস্পতিবার ওয়াজিবাদ এলাকাতে একটি বিশাল র্যালি ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। আর সেখানেই হঠাত করেই এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী গুলি চলে। আর তাতেই আহত হয়েছেন ইমরান খান। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনায় পিটিআইয়ের পাঁচজন নেতাও আহত হয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি আরও বেশ কয়েকজন আহয় বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদেরকেও স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। আহতদের মধ্যে একজন ইমরান খানের ম্যানেজার রয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকি একটি বাচ্চারও আহত হওয়ার খবর আসছে। এমনকি একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
|
একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃত ব্যক্তিই গুলি চালিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনার পরেই বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ইয়াসমিন রসিদ জানিয়েছেম, কার্যত বড়সড় ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ইমরান। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানানো হয়েছে। তবে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে বিপদমুক্ত বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তরফে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পিটিআই।
তবে এই ঘটনার পরেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পিটিআই। তাঁদের দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর তিন থেকে চারতে গুলি লেগেছে। কিন্ত্য কীভাবে গুলি চলল তা নিয়ে প্রশ্ন তাঁর দলের। এমনকি বর্তমান পাকিস্তানের সরকার ইমরান খানকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর দলের তরফে। তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে লাহোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পরেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমস্যা চলছে
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমস্যা চলছে। ইতিমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ইমরান খান। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গুজরানওয়ালায় পদযাত্রা নিয়ে বেরিয়েছিলেন ইমরান। দেশে নতুন করে ভোটের দাবিতে এই মিছিল ছিল বলে জানা যাচ্ছে। একেবারে সামনেই ছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। আর এরমধ্যেই হঠাত করে গুলি চলতে থাকে। রিতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই আতঙ্কে রীতিমত ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় এলাকাতে।