ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী দু'টি ‘জিন’ পুষেছেন! প্রতিদিন তাদের রান্না করা মাংস খাওয়ান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকাকে নিয়ে আজও রহস্যের উন্মোচন হল না। তিনি আজও নিজেকে ছদ্মবেশে মুড়ে রেখেছেন। ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ এবং রেহাম খানরা যেমন প্রকাশ্যে আসতেন, তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকা তেমন প্রকাশ্যে উপস্থিত হন না। আর তাঁর এই রসহ্যের আড়ালে থাকা নিয়ে গল্পেরও শেষ নেই।

গত বছর গুগলে পাকিস্তানীদের দ্বারা সর্বাধিক অনুসন্ধান করা ব্যক্তি হলেন বুশরা মানেকা। তিনি পাকিস্তানের পিঙ্কি 'পিরনি বা পবিত্র মহিলা বা পিঙ্কি বিবি নামে পরিচিত। ওয়াটু বংশের বুশরা রিয়াজ কাস্টমস কর্মকর্তা খাওয়ার ফরিদ মানেকার প্রাক্তন স্ত্রী। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বুশরাকে বিয়ে করে ইমরান খান পুরো দেশকে অবাক করে দেন। তিনি বুশরাকে 'আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশক' বলে ব্যাখ্যা করেন।
বিয়ের ছয় মাস পর ইমরান খান ক্রিকেটার থেকে পুরদস্তুর রাজনীতিবিদে পরিণত হন। তিনি হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তারপরই মানেকাকে নিয়ে নানা গল্প বের হতে থাকে। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বুশরা মানেকার কাছে দুটি জিন রয়েছে। অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য তিনি জিনগুলিকে প্রচুর পরিমাণে রান্না করা মাংস খাওয়ান।
এছাড়াও বহু গল্প ঘোরাফেরা করে বুশরা মানেকাকে নিয়ে। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইমরান খান যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তবে তাঁর সঠিক মহিলাকে বিয়ে করা দরকার। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন মানেকার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজনকে বিয়ে করতে। তিনি তাঁর বোনকে বিয়ে করতে বলেছিলেন বলেও গুজব শোনা যায়।
[ নিজের দেশেই চূড়ান্ত বেইজ্জত, ইমরানকে 'কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান' স্লোগানে স্বাগত মুজফফরাবাদে]
এরপর মানেকা জানিয়েছিলেন একটি বিবাহিত মহিলা এবং পাঁচজনের মাকে বিয়ে করতে হবে ইমরানকে। তারপরই বুশরা মানেকার স্বামী তাঁকে তালাক দিতে রাজি হন। এবং ইমারান খানকে তাঁদের আধ্যাত্মিক পরিবারের শিষ্য বলে সম্বোধন করেন। উল্লেখ্য, বুশরা মানেকার স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এবং পাকিস্তানের অন্যতম ধনী শিক্ষার্থী। তারপরও তাঁর মধ্যেও এই আধ্যাত্মিকতা কাজ করেছে।
তখন একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়, ইমরান খান প্রথম সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর বুশরাকে দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তী বৈঠকের সময় বুশরা প্রায়শই ইমরান খানকে আবৃত্তি করার জন্য শ্লোক দিতেন এবং ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাকে একটি আংটিও দিয়েছিলেন। এখনও তাঁকে ঘিরে এইসব রহস্যময় কথার জাল বোনা রয়েছে।