পাকিস্তান সন্ত্রাস প্রশিক্ষণের ডেরাগুলিকে ধর্মীয় কেন্দ্র হিসাবে পেশ করে কোন প্যাঁচ কষছে!
আসন্ন FATF এর সভা ঘিরে পাকিস্তান আঁটোসাটো মেজাজে। কিছুতেই সন্ত্রাসের সঙ্গে যোগ তারা বিশ্বের সামনে প্রকাশ করতে চাইছে না। এদিকে, একাধিক ফাঁক ফোকড় দিয়ে ইমরান সরকারের এই ধামচাপার গল্প বেরিয়ে যাচ্ছে! ভারতকে টার্গেট করা একাধিক সন্ত্রাসঘাঁটি নিয়ে পাকিস্তান কোন প্যাঁচের আশ্রয় নিয়েছে দেখে নেওয়া যাক।
পাকিস্তানের সন্ত্রাস মদত
পাকিস্তানের সরকারের তরফেই একাধিক সেক্টরে সন্ত্রাস ঘাঁটিতে সাহায্য চলছে। বহু সন্ত্রাস ঘাঁটি নিজের নাম পাল্টে নতুন চেহারায় পাকিস্তানে মাথাচাড়া দিচ্ছে। দেখা গিয়েছে, শিয়ালকোট শাকড়াগড় এলাকায় সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে ড্রোন দিয়ে অস্ত্র নিজে পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। সেখানে সন্ত্রাস ঘাঁটিতে মোবাইলের সিগন্যাল জোরদার করার পদক্ষেপও পাকিস্তানি প্রশাসন নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যাতে সীমান্তপারের সঙ্গে জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখতে পারে। এদের টার্গেট কাশ্মীর সীমান্ত।
প্রশিক্ষণ শিবিরকে ধর্মালোচনার কেন্দ্রে পরিণত করা
বহু পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটি এই মুহূর্তে আফগানিস্তান পাকিস্তান সীমান্তে স্থনান্তরিত হয়েছে। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ধর্ম আলোচনার কেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরে বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে চাইছে ইমরান সরকার। সামনেই FATF এর বৈঠক। যেখানে ধূসর তালিকায় রয়েছে ইমরান সরকার। আর সেকারণে পাকিস্তান বহু বিশ্বমানের আর্থিক মদত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানান্তরের নেপথ্য কারণ
মার্কিন - তালিবান শান্তি অ্যাকর্ডকে নজরে রেখে পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদতের প্রক্রিয়ার প্ল্যানে একটু পরিবর্তন হয়েছে। লস্কর ও জইশের মতো সন্ত্রাসী ঘাঁটি ডুরান্ড লাইনের কাছ থেকে অপারেশন চালাচ্ছে। এদের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের যোগ রয়েছে । যে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজুদ্দিনের ওপর ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইনাম ঘোষিত রয়েছে। এই সিরাজউদ্দিনই নাহারগড় এলাকার দায়িত্বে। এই নেতাই তালিবানের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অন্যদিকে, মার্কিন-তালিবান-আফগান শান্তি প্রক্রিয়াতে তালিবান একটি মূল অংশ। ফলে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলির সামনে মেপে চলা ছাড়া রাস্তা নেই।
আপাতত ঠান্ডা রাখা হচ্ছে সন্ত্রাসের আস্তানা
পাকিস্তানের সামনে ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর অগ্নিপরীক্ষা। সেই সময় প্য়ারিসে আন্তর্জাতিক আর্থিকনজরদারি প্রতিষ্ঠান FATF এর প্লেনারি সেসশন। সেখানে পাকিস্তানকে দেখাতে হবে যে তারা সন্ত্রাসে মদত দেয়না। আর সেজন্য বাহাওয়ালপুরের জইশ ঘাঁটি ও মুরিদকের লস্কর ঘাঁটিকে আপাতত শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। তবে জইশরা যে দেওবন্দি ভাবধারায় উ্দবু্ধ করে বহু জঙ্গিকে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে পাঠানোর ছক কষছে, সেখবর রয়েছে এদেশের গোয়েন্দাদের হাতে।