পাকিস্তানে চরমে রাজনৈতিক সংকট? ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে কে নাম প্রস্তাব ইমরানের
পাকিস্তানে চরমে রাজনৈতিক সংকট? অবসরপ্রাপ্ত প্রধানবিচারপতিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে নেওয়ার আর্জি ইমরানের
পাকিস্তাকে ক্রমণ জোরাল হচ্ছে রাজনৈতিক সংকট। ইমরান খানে অপসারণ অবধারিত। কিন্তু নিজে সরলেও পাকিস্তানের তত্বাবধায়ক বা কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী পদে কাউকে না কাউকে বসাতে চান তিনি। এবং তাতে নিজের পছন্দের কথা সপাটে জানিয়েছেন ইমরান খান। কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী পদে থাঁর পছন্দ পাকিস্তানের ভার অবসরপ্রাপ্ত বিচাপতি আজমত সইদের। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদ পত্র ডনে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর।
নিজের দল তেহেরিক-ই-ইনসাফের কোর কমিটিতে নামটি প্রস্তাব করেছিলেন ইমরান খান। তাতে অনুমোদনও পেয়েছেন তিনি। এদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি জানিয়েছেন, যতদিন না কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নাম সুনিশ্চিত করা হচ্ছে ততদিন ইমরান খানই দায়িত্বে থাকবেন। এদিকে বিরোধীরা কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য ব্যক্তির দাবি জানিয়েছেন।তাঁরা কিছুতেই ইমরান মনোনিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে রাজি নন। এদিকে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে মরিয়া বিরোধীরা। তাঁরা দাবি করেছেন যেভাবেই হোক ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ছিল কিন্তু পাক সাংসদে সেটা খারিজ গয়ে যায়। সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ইমরান খান বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে অধিবেশন ভেঙে দেওয়ার আর্জি তিনি জানিয়েছিলেন। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হোক বলে দাবি তুেলছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব দেশবাসীকে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ইমরান খান। জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনই দাবি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের এই দাবিতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিরোধীরা।
সূত্রের খবর পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর নাম চেয়েছিলেন বিচারপতি তাতে দুটি নাম চাওয়া হয়েছিল। তাতে প্রথমেই ইমরান খানের তরফ থেকে নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। তাঁরা কিছুতেই ইমরান খানের প্রস্তাবিত কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর নাম মেনে নিতে রাজি নন। এই নিয়ে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী নতুন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন। সেকারণে বিরোধীরাও দ্রুত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে হবে।