পাকিস্তানে উপনির্বাচনে সব থেকে বেশি আসনে জয়ী ইমরানের দল, জোড়াল হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনের দাবি
পাকিস্তানের উপনির্বাচনে সব থেকে বেশি আসনে জয়ী ইমরান খানের দল
রবিবার পাকিস্তানের উপনির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইরান খানের দল পিটিআই জয়ী হয়েছে। বার বার ইমরান খান সাধারণ নির্বাচনের ডাক দিয়ে এসেছেন। তিনি দাবি করেছেন, জনগণ কী চায়, সেটা জানা প্রয়োজন। উপনির্বাচনের ইমরান খানের পিটিআইয়ের এই জয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সাধারণ নির্বাচনের দাবিকে আরও জোড়াল করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উপনির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে জয়
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ইমরান খানের দল আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ছয়টিতে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য পাকিস্তান পিপলস পার্টি বাকি দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের একজন সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি টুইটে লিখেছেন, আমি দেশের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে দ্রুত সাধারণ নির্বাচনের ডাক দিচ্ছি। আমরা বর্তমান পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে নির্বাচনি পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনাতেও প্রস্তুত রয়েছি। ইমরান খানের এই জয় শেহবাজ শরিফের জোট সরকারকে যে একটা বড় ধাক্কা দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে।
চাপে শরিফ সরকার
শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন, সেই সময় উপনির্বাচনের ফলাফল। এই ফলাফল শেহবাজ শরিফের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শেহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রীর সময় থেকে পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও জোরদার হয়। পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা মোকাবিলা করতে শরিফ সরকার কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর শরিফ সরকার জোড় দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পাকিস্তানকে সব থেকে বিপজ্জনক দেশ বলে চিহ্নিত করেছে।
সাধারণ নির্বাচনের দাবি
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল। পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে জোট তৈরি করে। তারা পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফ। কিন্তু উপনির্বাচনের রায় ইঙ্গিত দিচ্ছে সাধারণ মানুষ ইমরান খানের পক্ষে রয়েছে। যার জেরে ইমরান খানের সাধারণ নির্বাচনের দাবি আরও জোড়াল হচ্ছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ নির্বাচন হলে তীব্র সঙ্কট দেখা দেবে। সেই সঙ্কট রাজনৈতিক ভাবে ও সামাজিকভাবে শুরু হবে। পাকিস্তানের তদন্তকারী দল ইতিমধ্যে পিটিআইয়ের অস্ট্রেলিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অবৈধ বিদেশী তহবিল পেয়েছে। যদিও পিটিআই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ওমিক্রনের নতুন সাব ভেরিয়েন্টের ওপর কাজ করছে না বেশিরভাগ অ্যান্টিবডি, দাবি ল্যানসেটের