পাক পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ইমরান সরকার, আজই পদত্যাগের সম্ভাবনা
পাক পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল ইমরান সরকার, আজই পদত্যাগের সম্ভাবনা
আজই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ েথকে ইস্তফা দিতে চলেছেন ইমরান খান। এমনই খবর শোনা যাচ্ছে। কারন পাক পার্লামেন্টে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খান সরকার। ইমরান সরকারের শরিক দলের সাংসদরাও হাত মিলিয়েছেন বিরোধীদের সঙ্গে। কাজেই ইমরানের ক্ষমতা শেষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী কে হবে ইমরানের জায়গায় সেটাও ঠিক করা হয়ে গিয়েছে।
আজই পদত্যাগের সম্ভাবনা
আজই পদত্যাগ করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে এক প্রকার চলে গিয়েছে গোটা পার্লামেন্ট। গত কয়েক মাস ধরেই টলমল পরিস্থিতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে। ইমরান খানকে সরাতে মরিয়া বিরোধীরা। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে ইমরানের নিজের দলের লোকেরাই তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। গতকাল সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি।
শরিকরাও হাত মিলিয়েছে বিরোধীদের সঙ্গে
ইমরানের শরিকি দলও বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। জোট শরিকরা বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মেলানোয় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের সরকার। নিজের সমর্থনে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি তিনি। আস্থা ভোটের আগে ইমরানের দলের মূল জোট সঙ্গী এমকিইএম-পি, পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে৷ যার জেরে ক্ষমতা হারানো এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে পড়েছে ইমরান খানের পক্ষে। কোনও কিছু করেই আর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না তিনি। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পারদ চড়ছে পাকিস্তানে
আজই দুপুরে ইমরান সরকারের মূল শরিগ দল এমকিউএ-পি-র সাংসদরা ইস্তফা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এই শরিক দলের নেতারা ইস্তফা দিলে পাক পার্লামেন্টে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাবেন ইমরান সরকার। কারণ তাঁর নিজের দলের একাধিক সাংসদ হাত মিলিয়েছেন বিরোধীদের সঙ্গে। এই শরিক দলের সাংসদরা ইস্তফা দিলে ১৮০ জন সাংসদের সমর্থন পেয়ে যাবে বিরোধীরা। হয়তো আর আস্থা ভোটে হাঁটার প্রয়োজন হবে না। তার আগেই পদত্যাগ করবেন ইমরান খান। শোনা যাচ্ছে আজ সংসদের বাইরেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন ইমরান।
সরকার বাঁচানোর চেষ্টা
সরকার বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করেছেন ইমরান খান। কখনও নিেজর দলের বিদ্রোহী নেতাদের বহিষ্কার করে ভোটাভুটি থেকে তাঁদের বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। কৎনও আবার বিদ্রোহীদের ভোটাভুটিতে অংশ না নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। হুমকি থেকে আবেদন-নিবেদন কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। ইমরান সরকারকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইমরান জমানার অবসান ঘটিয়ে কি ফের সেনা শাসন কায়েম করতে চাইছে পাকিস্তানে। কারণ ইমরান খানের সরকার সরানোর নেপথ্য সেনারও হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদীর বক্তব্যে নেই CAA! ক্ষোভ সামলে শান্তনু বললেন, কয়েক মাসের মধ্যেই 'ইপ্লিমেন্ট'