ভোটাভুটির আগেই কী যে কোনও মুহূর্তে ইস্তফা ইমরানের? নজরে ৩১ মার্চ
চাপ বাড়ল ইমরান খানের (Imran Khan)! পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা (No-Confidence Motion) প্রস্তাব সংসদে (Pakistan National Assembly)। বিরোধী গোষ্ঠী একযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু এই
চাপ বাড়ল ইমরান খানের (Imran Khan)! পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা (No-Confidence Motion) প্রস্তাব সংসদে (Pakistan National Assembly)। বিরোধী গোষ্ঠী একযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু এই প্রস্তাব নিয়ে কোনও বিতর্ক হয়নি।
আর তা হওয়ার আগেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংসদ মুলতবি করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেদিন বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। তবে আজ সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন শাহবাজ শরিফ।
গত কয়েকদিন ধরেই চাপ আসছিল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর। তবে মনে করা হচ্ছে যে কোনও মুহূর্তে ইস্তফা দিতে পারেন নয়া পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখানো ইমরান। আর তা ভোটাভুটির আগেই হতে পারে বলে দাবি করছে সে দেশের একাধিক পাক সংবাদমাধ্যম। তাঁদের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হতে পারেন ইমরান খান। আর সেই কারণেই ইস্তফা দেওয়ার ভাবনা চিন্তা বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি করেছে পাক সংবাদমাধ্যম।
অন্যদিকে পাকিস্তানের স্পিকার জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা চারটের সময়ে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হবে। এবং ভোটাভুটি হবে। আর সেদিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে ইমরান খান তাঁর কুর্সি বাঁচাতে পারছেন কি না! তবে আগে ইস্তফা দিয়ে দিলে তো কোনও ভোটাভুটি হওয়ার জায়গা থাকছে না। তবে বিরোধী দলের দাবি তাঁদের সঙ্গে ২০০ সাংসদ রয়েছেন। বলে রাখা প্রয়োজন পাকিস্তানে ৩৪২টি আসন রয়েছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হল ১৭২।
এর আগে এক জনসভায় রবিবার বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার জন্যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। আর সেই ষড়যন্ত্রে বিরোধী শক্তি জড়িত বলে দাবি। ওই জনসভায় দেড়ঘন্টারও বেশী সময়ে বক্তব্য রাখেন ইমরান।
আর সেখানে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, সরকার বদলের জন্যে বিদেশী টাকার ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তা তাঁর দলেরই একাংশ করছে বলেও অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর। এমনকি তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি। তবে কোনও কিছুতেই যে তিনি দমবেন রবিবারের জনসভায় তা স্পষ্ট করেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
বলে রাখা প্রয়োজন, পরবর্তী জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর নেতা শাহবাজ শরিফকে দেখা যেতে পারে। এমনটাই দাবি একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের।