চিনের তাঁবেদারি করতে গিয়ে পাকিস্তানের অন্দরেই বিপাকে ইমরান! গিলগিট প্ল্যানে বিষাক্ত তির
চিনকে ছাড়া পাকিস্তান চলতে পারবে না বলে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বক্তব্য রাখেন ইমরান খান। চিনও পাকিস্তানকে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে, সেদেশের মতো হওয়ার বার্তা দিয়েছে নেপাল, আফগানিস্তানকে। দুই দেশের বন্ধুত্বে এমন 'বসন্ত' নেমে আসতেই পাকিস্তানের অন্দরে তুমুলভাবে কোণঠাসা হতে শুরু করেছেন ইমরান। তাঁর গিলগিট প্ল্যানে কার্যত জল ঢেলে দিতে চলেছেন ইমরানের রাজনৈতিক বিরোধীরা।
পাকিস্তানে ইমরানকে আক্রমণ!
২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলা , সহ এলাকাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করে দিল্লি। এর পাল্টা প্রতিশোধের প্ল্যান হিসাবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালতিস্তানের এলাকা নতুন প্রভিন্সের মধ্যে রাখতে চায় পাকিস্তান। ইমরানের এই প্ল্যানে রয়েছে চিনের নিগূঢ় স্বার্থ। আর তা নিয়েই ইমরানকে কোণঠাসা করছে পাকিস্তানে তার বিরোধীরা।
পাকিস্তানের অন্দরে ইমরান কোণঠাসা কিভাবে?
ইমরানের কট্টর রাজনৈতিক বিরোধী মৌলানা ফজলুর রহমান এবার ইমরান বিরোধী ক্যাম্পের হাত শক্ত করতে সেখানে যোগ দিয়েছেন। ইমরান বিরোধীদের দাবি, চিনের হাতের পুতল হয়ে গিয়ে গিলগিট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন ইমরান। কার্যত পাকিস্তানের এই চিন প্রেম নিয়েই ইমরানকে কোণঠাসা করছে বিরোধীরা। যার জেলে ইমরানের ব্লকবাস্টার গিলগিট প্ল্যান কার্যত কাবু!
কাশ্মীরিদের রক্তের ওপর চুক্তি হচ্ছে!
জামিয়াত উলেমা সহ পাকিস্তানের ইমরান বিরোধী তাবড় দলের দাবি,কাশ্মীরকে ভাগ করে ইমরান সওদা করছেন। কাশ্মীরিদের রক্তের ওপর দিয়ে চলছে ইমরানের স্বার্থের সওদা। এদিকে, একই আওয়াজ গিলগিটের অন্দরেও। অন্যদিকে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রতিনিধি রাষ্ট্রসংঘে গিয়ে সেখানে পাকিস্তানের অত্যাচার নিয়ে মুখ খুলেছেন। সবমিলিয়ে গিলগিট কাঁটার দংশন আপাতত সহ্য করছেন ইমরান।
চিনের চাপে কুপোকাত ইমরান!
উল্লেখ্য, চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের জন্য চিন বারবার পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে। এই করিডরে গিলগিট একটি গুরুত্বপূর্ই অংশ। যার দিকে লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে চিনের। এই এলাকাকে পাকিস্তান প্রভিন্সের আওতায় রাখলে তা পাকিস্তানের অধিকারে আসবে। আর সেই অধিকারে থাবা বসাতে চিনের সময় বেশি লাগবে না! কারণ পিওকেতে চিন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। আর তার হাত ধরেই চেনা বিস্তারবাদে নামতে পারে তারা। এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
ইমরানের কাছে চিনের চাপ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
যদিও ইমরানের কাছে চিন এই মুহূর্তের খুবই গুরুত্বের জায়গায় আছে। কারণ, চিনের থেকে টাকা নিয়েই পাকিস্তান সৌদি আরবের ঋণের টাকা মিটিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইমরান কাশ্মীর নিয়ে অমিত শাহের চালে কুপোকাত হয়ে পাকিস্তানের ভিতরে কোণঠাসা। অন্যদিকে, চিনের চাপ। এর ওপর সেই চিনের বন্ধুত্ব রাখতে গিয়ে ফের পাকিস্তানে তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরা সরব হতে শুরু করেছে। ফলে ত্রিফলা জটে আপাতত নাভিশ্বাস তুলছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রনেতা।