ভারতের বিরুদ্ধে ডাহা ফেল! ঘরে-বাইরে ভয়ানক চাপে ইমরানের গদি টলমল
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে ভূস্বর্গকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজিত করেছে। এতে যেন রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে ভূস্বর্গকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজিত করেছে। এতে যেন রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ভয়ঙ্কর চাপে রয়েছেন তিনি। একদিকে যেমন রয়েছে বিরোধী দলের নেতৃত্বের চাপ, অন্যদিকে চাপ রয়েছে সেনাবাহিনীর চাপ। দুইয়ে মিলে একেবারে কোণঠাসা ইমরান খান।
বিরোধী দলের নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো ইমরান খানের সমালোচনা করে বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তিনি কেন, যে পাকিস্তানি সেনা ইমরানের খুব কাছের ছিল এবং তাঁকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে, তাঁদেরও হতাশ করেছেন ইমরান।
কারণ একটাই, তিনি ভারতের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি। গত ১৮ অগাস্ট ইমরান খান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক বছর পূর্ণ করেছেন। এবং তার পরের দিনই তিনি পাকিস্তানি সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে আরও তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধানের পদে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন।
এর আগে সরকারে আসার সময় পাকিস্তানি সেনা ও সেখানকার বিচার ব্যবস্থা, দুইয়েরই সমর্থন ছিল ইমরান খানের প্রতি। তবে ইমরান এক বছরেই চুড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন বলে হাওয়া উঠে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যেভাবে ভারত ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়াকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, পাকিস্তান সেখানে বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রায় সব জায়গায় মুখে চুনকালি মাখিয়েছে।
এর দায় সম্পূর্ণভাবেই ইমরান খানের ঘাড়ে চাপিয়েছেন বিরোধী ভুট্টোরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল বলেছেন, ইমরান খান সরকারের অযোগ্যতার কারণে পাকিস্তান কাশ্মীর হারাতে চলেছে। আগে পাকিস্তানের নীতি ছিল কীভাবে আমরা শ্রীনগরকে ভারতের হাত থেকে ছিনিয়ে আনব। তবে এখন ইমরান খান সরকারের অযোগ্যতার কারণে বিষয়টি হয়ে দাঁড়িয়েছে, কীভাবে আমরা মুজাফফরাবাদকে বাঁচাতে পারব
ভুট্টোর আরও দাবি, কাশ্মীর নিয়ে চরম কৌশলগত ভুল করেছে ইমরান খানের সরকার। কারণ নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার আগেই তাঁর দল ঘোষণা করেছিল, ফের ক্ষমতায় এলে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হবে। ফলে ইমরান খান সরকারের সেটা জেনে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তবে সেসবের কিছুই করেনি পাকিস্তান সরকার। যার ফলে কাশ্মীর হাত থেকে যেতে বসেছে।