সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ এড়িয়ে সেই কাশ্মীর নিয়ে চর্বিতচর্বণ ইমরান খানের
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ তখতে যিনি বসেন, তিনিই বোধহয় সুর পাল্টে ফেলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বৈচিত্র হারিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত প্রসঙ্গ উঠলেই সেই কাশ্মীর ছাড়া কথা বলতে পারছেন না
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ তখতে যিনি বসেন, তিনিই বোধহয় সুর পাল্টে ফেলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বৈচিত্র হারিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত প্রসঙ্গ উঠলেই সেই কাশ্মীর ছাড়া কথা বলতে পারছেন না। কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধনের সময়ও সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে কম কথা বলে শান্তির বার্তা দিলেন তিনি। একইসঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চেয়ে বাড়তি শব্দ খরচ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান জানিয়েছেন, জঙ্গিদের ভারত বিরোধী নাশকতায় দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া পাকিস্তানের পক্ষে খুব একটা লাভদায়ক নয়। আর ২৬ নভেম্বরের মুম্বই হামলার জন্য তাঁর সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা উচিত নয়। কারণ সেই বোঝা তাঁরা বহন করছেন।
ঘটনা হল ২০০৪ সালে প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও তৎকালীন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফের যৌথ বিবৃতির সময়ও এমনই কথা মুশারফকে বলতে শোনা গিয়েছিল। তারপর থেকে ভারত বারবার জানতে চেয়েছে, সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতায় পাকিস্তান সরকার কী পদক্ষেপ করেছে। তবে তার গালভরা জবাব এলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
ভারত বারবার বলে এসেছে লস্কর, জঈশের মতো জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ব্যবস্থা না নিলে আলোচনা সম্ভব নয়। বারবার পাকিস্তানি জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাচ্ছে।
ইমরানকে ভারতীয় সাংবাদিকরা হাফিজ মহম্মদ সঈদ, দাউদ ইব্রাহিম, মাসুদ আজহারদের শাস্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে টেনে এনেছেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। জানিয়েছেন, ভারতের এই বিষয়ে কিছু করা উচিত। সেনা কখনও সমাধান হতে পারে না।
ভারত বারবার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। অথচ ইমরান বারবার আলোচনা করতে বার্তা দিচ্ছেন। তাঁর কথায় পাকিস্তান বদলে গিয়েছে। মানুষের ভাবনা বদলেছে। তবে এগুলি যে মুখের কথা তা ইমরানও ভালো করেই জানেন। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে পাকিস্তানে যা করতে হয়, ইমরান বোধহয় সেগুলিই করে যাচ্ছেন।